‘চাঁদ’ নেমে আসছে দুবাইয়ে, খরচ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
চাঁদ-নেমে-আসছে-দুবাইয়ে-খরচ-৫-বিলিয়ন-মার্কিন-ডলার
দূর থেকে চাঁদ দেখতে যেমন ঠিক তেমনি দেখাবে এই রিসোর্ট। সেখানে গেলে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের অনুভূতি পাওয়া যাবে। মুন ওয়ার্ল্ড রিসর্ট ইনকরপোরেশন (এমডব্লিউআর) নামের কানাডার এক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান রিসর্টটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
আতিথেয়তা, বিনোদন, শিক্ষাপ্রযুক্তির নানা আকর্ষণ থাকবে এই রিসোর্টে। চাঁদের মতোই রাতে জ্বলজ্বল করবে এই রিসোর্ট। এর আশেপাশে 'লুনার কলোনি'র মতো বিস্তৃত এলাকা থাকবে। সেখানে বার্ষিক ২৫ লাখ অতিথির এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ থাকবে। বলা বাহুল্য, এই প্রস্তাবিত রির্সোটটি ব্যয় বহুল হবে। ডিজাইনটাও হবে অত্যাধুনিক। এর ভেতরে থাকবে কনভেনশন সেন্টার, রেস্তোরাঁ, স্পা সেন্টার ইত্যাদি।
অ্যারাবিয়ান বিজনেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, 'দুবাইয়ের এই ডেস্টিনেশন রিসোর্টের পেছনে প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে। আগামী ৪ বছরের মধ্যে এর কাজ সম্পূর্ণ হবে। উচ্চতায় এটি প্রায় ৭৩৫ ফুট উঁচু হবে। অর্থাৎ প্রায় ৬০ তলা অট্টালিকার সমান উঁচু।
'মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা কানাডাভিত্তিক উদ্যোক্তা মাইকেল আর হেনডারসন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, পৃথিবীর সব মানুষই এটি পছন্দ করবে। এখানে হাঁটলে হবে যেন চাঁদের বুকে হাঁটছেন।
সান্দ্রা ও হেনডারসনের 'চাঁদে' হাঁটার সুখ পেতে অতিথিদের জনপ্রতি খরচ হতে পারে ৫০০ ডলার। চলতি বছরের শেষের দিকে এই ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের কাজ শুরু হলে তা আগামী ৫ বছরের মধ্যে সবার জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুবাইয়ের উন্নতির মূলে এতদিন অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা ছিল। তবে এই সম্পদেরও একটি সীমা রয়েছে। আগামিদিনে অপরিশোধিত তেলের ভাণ্ডার শেষ হলে তখন? আর সেই কারণেই নিজেকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বসেরা করে তুলতে মরিয়া দুবাই।