বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এসপি পরিচয়ে টাকা হাতানো প্রতারক বাপ্পীর ১০ বছরের সাজা

প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রোববার

এসপি-পরিচয়ে-টাকা-হাতানো-প্রতারক-বাপ্পীর-১০-বছরের-সাজা

এসপি-পরিচয়ে-টাকা-হাতানো-প্রতারক-বাপ্পীর-১০-বছরের-সাজা

বগুড়া পুলিশের এসপি (পুলিশ সুপার) পরিচয়ে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া সোহাগ মাহমুদ বাপ্পী ওরফে রনিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে পৃথক দুটি ধারায় পাঁচ বছর করে মোট ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে ১২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।

জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহাগ মাহমুদ বাপ্পী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বাসিন্দা। মামলা দায়েরের পর তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। কিন্তু জামিনে বের হওয়ার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। আসামি গড় পলাতক থাকায় তার অবর্তমানেই আজ এই রায় ঘোষণা করেছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। তার বিরুদ্ধে সাজামূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আসামি  গ্রেফতার হলে এই দুটি ধারার সাজা একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে।

জানা গেছে, মোবাইলে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) পরিচয় দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল রবিউলের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক বাপ্পী। তিনি পুলিশ সুপার সেজে রবিউলকে পুলিশ লাইন্সের বাইরে গিয়ে রকেটের মাধ্যমে পৌনে দুই লাখ টাকা পাঠাতে বলেন। তার এক আত্মীয় হঠাৎ অসুস্থ হয়েছে তাই দ্রুত মোবাইল ব্যাংকিং রকেট থেকে টাকা পাঠাতে বলেন তিনি। পরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে রবিউলের মাধ্যমে দোকানিকে টাকা পরিশোধ করা হবে। প্রতারক বাপ্পীর কথা শুনে তিনি দোকানে গিয়ে রকেট হিসাব থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠান।

কিন্তু পরে আর কেউ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আসেননি। আর ওই ফোন নম্বরটিও বন্ধ হয়ে যায়। তাকে পুলিশ সুপার পরিচয়ে ফোন করা মোবাইল নম্বরে কল করতে বলেছিলেন এক এসআই। 

পরে ওই এসআইও জানতে পারেন, তার সঙ্গে এসপি পরিচয়ে যে কথা বলেছেন তিনি একজন প্রতারক। প্রতারণা করার জন্যই কনস্টেবল রবিউলকে এই দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছিল। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে রবিউলকে জানান। ততক্ষণে টাকা চলে গিয়েছিল। পরে রবিউল মামলা করেন।

দৈনিক প্রভাতীের প্রতিবেদককে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী ইসমত আরা প্রতিবেদককে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, কনস্টেবল রবিউল ইসলাম পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বাসিন্দা। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন তিনি। ওই সময় বাপ্পীর দ্বারা পৌনে দুই লাখ টাকা প্রতারণার শিকার হন তিনি। এ নিয়ে বাপ্পীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন কনস্টেবল রবিউল। তবে ওই সময় মামলার এজাহারে আসামির নাম অজ্ঞাত রাখা হয়। পরে পুলিশি তদন্তে সোহাগ মাহমুদ বাপ্পীকে অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিনে বের হয়ে প্রতারক বাপ্পী আবারো গা ঢাকা দেন।