হাত কেটেও তৃপ্ত হননি পারভেজ, চেয়েছিলেন হত্যা করতে
প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রোববার
হাত-কেটেও-তৃপ্ত-হননি-পারভেজ-চেয়েছিলেন-হত্যা-করতে
রোববার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার। এর আগে, শনিবার সকালে হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী মাদরাসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. পারভেজ ওই উপজেলার মধ্যম পাহাড়তলী এলাকার মো. জামালের ছেলে।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী মো. হাসানের সঙ্গে বিরোধ ছিল পারভেজের। এর জেরে গত ১৯ আগস্ট সকালে দলবল ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাসানের বাড়ির সামনে যান পারভেজ। যাওয়ার পর মদ্যপ অবস্থায় হাসানকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল করতে থাকেন তিনি। ওই সময় হাসান ঘর থেকে বেরিয়ে গালাগাল করতে নিষেধ করলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পারভেজ। এরপর পারভেজ ও তার সঙ্গীরা হাসানের ঘরে ঢুকে তাকে মারধর শুরু করেন।
মারধরের একপর্যায়ে হাতে থাকা কিরিচ দিয়ে হাসানের মাথায় কোপ দেওয়ার চেষ্টা করেন পারভেজ। ওই সময় হাসান হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করলে তার ডান হাতের কব্জি প্রায় দুই টুকরো হয়ে যায় এবং মাথা, চোখ, হাত ও পিঠে গুরুতর জখম হয়।
এরপরও থেমে যাননি পারভেজরা। তারা লোহার রড ও শাবল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসানের ডান হাত, পিঠ, বাম পা ও চোখের বাম পাশে মারাত্মকভাবে আঘাত করেন। এতে হাসান অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে পারভেজ শ্বাসরোধে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন।
গুরুতর আহত হাসানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এরপর হাসানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে এ ঘটনায় হাটহাজারী মডেল থানায় পারভেজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী হাসান।
র্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার বলেন, ঘটনার পর থেকে আত্মগোপন করেন পারভেজ। তাকে ধরতে নজরদারি অব্যাহত রাখে র্যাাব। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী মাদরাসা এলাকা থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন পারভেজ। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।