বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে স্কুলছাত্রীর গলায় ফাঁস

প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রোববার

পেটের-ব্যথা-সহ্য-করতে-না-পেরে-স্কুলছাত্রীর-গলায়-ফাঁস

পেটের-ব্যথা-সহ্য-করতে-না-পেরে-স্কুলছাত্রীর-গলায়-ফাঁস

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে যমুনা খাতুন নামের এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন শেরপুর থানার ওসি মো. আতোয়ার রহমান খোন্দকার। এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরের সিলিংফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে যমুনা। খবর পেয়ে ওই দিন রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

১৪ বছর বয়সী যমুনা ওই উপজেলার শাহবন্দেগী ইউপির দক্ষিণ ফুলতলা গ্রামের কালাম সিকদারের মেয়ে। সে উপজেলা দ্য পারফেক্ট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবা ঢাকার এক পোশাক কারখানার কর্মচারী।

জানা যায়, যমুনা  দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিল। সম্প্রতি মেডিকেল পরীক্ষায় তার অ্যাপেন্ডিসাইড ধরা পড়ে। কিন্তু তার অপারেশন করার মতো টাকা তার বাবার কাছে ছিল না। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছিল না। শনিবার বিকেলে হঠাৎ মেয়েটির পেটের ব্যথা বেড়ে যায়। ওই সময় ব্যথায় ছটফট করছিলেন যমুনা এবং মাকে বলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে। কিন্তু  মায়ের কাছে টাকা না থাকায় তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার। এরপরই অভিমানে নিজ ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে যমুনা।

জানা গেছে, অনেক সময় পার হয়ে গেলেও দরজা খুলে বের হচ্ছিল না মেয়েটি। অনেক ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না তার মা। পরে সন্দেহ হলে স্বজনদের ডেকে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় যমুনার নিথর দেহ দেখতে পান।

ওসি মো. আতোয়ার রহমান খোন্দকার বলেন, যমুনার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।