রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক ৪
প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রোববার
রাজশাহীতে-সাংবাদিকের-ওপর-হামলা-আটক-৪
রোববার দুপুরে নগরীর হড়গ্রাম টুলটুলি পাড়ায় অবস্থিত বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিক কারখানার মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাংবাদিক তানজিমুলকে লাঞ্ছিত করেন এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে এ ঘটনায় তানজিমুল হক বাদী হয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় ১৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পরে পুলিশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, হিমেল (২৭), তুষার (৩৪), নাসির উদ্দিন (৪৫) ও আনোয়ার হোসেন (২৮)। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিক কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এদিকে, সাংবাদিক নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছে রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় তারা। সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচির প্রেক্ষিতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ সাংবাদিক হামলার ঘটনার জড়িতদের আটক করে অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেন।
মারধরের শিকার সাংবাদিক তানজিমুল হক বলেন, রোববার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে বের হওয়ার সময় বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিকের মূল ফটকের সামনে তাদের গাড়ি থাকায় আমার গাড়িটি আটকে পড়ে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমার ওপর চড়াও হন। পাল্টা প্রতিবাদ জানালে তারা উল্টো আমাকে মারধর করেন এবং আমার গাড়িও ভাঙচুর করেন।
অন্যদিকে, ভেজাল পণ্য তৈরির খবর পেয়ে কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় তারা প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়মের অভিযোগে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী জেলার সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বলেন, এখানে চারটি ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদনের মেয়াদ মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল। এরপর সেটি নবায়ন করেনি। তবে তারা আবেদন করেছেন। কিন্তু অনুমোদন না থাকলেও তারা ওষুধ উৎপাদন করে আসছে। এছাড়াও সেখানে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ক্যামিস্ট পাওয়া যায়নি। একজনকে নিয়োগ দেখানো হলেও তিনি ঢাকায় থাকেন। এছাড়াও কারখানার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর, যা ওষুধ তৈরির উপযোগী নয়।
তিনি আরো বলেন, বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিক কারখানাটিকে দুই লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। তারা সে অর্থ পরিশোধ করেছে। এছাড়াও অনুমোদনহীন উৎপাদিত বেশ কিছু ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। আবার তাদের নগরীর লক্ষীপুর মোড়ের একটি দোকানকেও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার কারণে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী বিভাগীয় কমিশনার মো. মারুফ আল হাসান। ভবিষ্যতে তারা যেনো এমন আইন পরিপন্থী কাজ না করেন সে বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে বলেও জানান ভোক্তা অধিকারের এ কর্মকর্তা।