‘কান্নাকাটি’ করায় ১ মাসের শিশুকে হত্যা করলেন মা
প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রোববার
কান্নাকাটি-করায়-১-মাসের-শিশুকে-হত্যা-করলেন-মা
রোববার নিজ কন্যা শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ এর বিচারক নাজমুল কবির তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরবর্তীতে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে আদালত।
ঘাতক রীতা বেগম বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা গ্রামের জনৈক সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. এনামুল জানান, বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার পর কান্নাকাটি ও অতিরিক্ত পায়খানা করত। এতে বিরক্ত হন ওই শিশুটির মা। এর আগে থেকে হত্যার পরিকল্পনায় ছিল তার। ঘটনার দিন রাতে শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে। রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়ে। সবার অজান্তে মারিয়মকে ঘর থেকে বের করে পুকুরের দিকে নিয়ে যান। পরে তাকে পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত ১টার দিকে শিশুটির দাদা ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। ছেলে সাইফুলকে ঘুম থেকে উঠান। জিজ্ঞাসা করেন ঘরের দরজা খোলা কেন, এমন প্রশ্নের উত্তর তখন তিনি দিতে পারেননি এবং তখনও তিনি জানেন না যে তার কন্যা শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ওই বাড়িতে হইচই শুরু হয়। সবাই খুঁজতে থাকেন মারিয়মকে। পরে ঘরের পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। পুরোদিন এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উন্মোচিত করার জন্য চলে নাটকীয়তা।
পরবর্তীতে ঘাতক মা রীতা বেগমকে সন্দেহ করা হয়। এক সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার করেন। সন্ধ্যায় তাকে বটিয়াঘাটা থানার পুলিশ আটক করে। রাতে সাইফুল বাদী হয়ে রীতা বেগমকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বটিয়াঘাটা থানার ওসি শাহাজালাল বলেন, শুক্রবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটের দিকে মারিয়মের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে থানায় খবর দিলে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। রীতা বেগম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়।