লেভানদোভস্কির একমাত্র গোলে বার্সার জয়
প্রকাশিত : ০৫:৩০ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রোববার
লেভানদোভস্কির-একমাত্র-গোলে-বার্সার-জয়
এ নিয়ে লা লিগায় এবারের মৌসুমে বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান টানা পঞ্চম ম্যাচে কাতালান জায়ান্টদের কোন গোল হজম করতে দেননি। এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের থেকে এক পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বার্সা।
মায়োর্কাতে জাভি হার্নান্দেজের দল রক্ষণভাগ ও আক্রমণভাগে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছিল। গত মৌসুমের এই দুই ভাগের সমন্বয়ের অভাবে অনেক ম্যাচেই পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল বার্সাকে।
বিশেষ করে লেভানদোভস্কির দক্ষতায় আরো একবার বার্সেলোনা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করার সুযোগ পেল। যার ফলে বার্সেলোনা কোচ জাভি অপরাজিত থেকে লিগে টানা ১৮ ম্যাচে এগিয়ে যাবার নতুন ঘরোয়া রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এই তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ জিনেদিন জিদানকে পিছনে ফেলেছেন তিনি।
শীর্ষ ফর্মে থেকেই এবারের মৌসুম শুরু করেছিলেন টের স্টেগান। লা লিগায় কোন গোল হজম না করার নিজের পূর্বের রেকর্ড ৫০০ মিনিটকে ছাড়িয়ে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৪ মিনিট।
অন্যদিকে লেভানদোভস্কি এ নিয়ে স্পেনে সাত ম্যাচে ৯ গোলের কৃতিত্ব অর্জন করলেন। গতকাল তার কার্লিং শটটি আটকানোর সাধ্য ছিল না স্বাগতিক সার্বিয়ান গোলরক্ষক রাজকোভিচের।
ম্যাচ শেষে স্টেগান বলেছেন, ‘এই জয় আমাদের ব্যস্ত সপ্তাহে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা যোগাবে। জয়ের থেকে কোন রেকর্ডই বড় নয়। আমি নিশ্চিত এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। এই ধরণের জয়ের অর্থ বিশেষ কিছু। এর ফলে রিয়াল মাদ্রিদের উপর চাপ বজায় থাকবে।’
রোনাল্ড আরাউহো, জুলস কুন্দে ও হেক্টর বেলারিনের ইনজুরির কারণে রক্ষণভাগে কাল কিছুটা পরিবর্তন করে তরুণ লেফট ব্যাক আলেসান্দ্রো বালদেকে রাইট পজিশনে নিয়ে এসেছিলেন জাভি। একইসঙ্গে আনসু ফাতিকে মূল একাদশে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
২০২১ সালের নভেম্বরের পর এই প্রথম লা লিগায় মূল দলে খেলার সুযোগ পেলেন ১৯ বছর বয়সী ফাতি। এ সময় অবশ্য ইনজুরির সমস্যা ছিল তরুন এই ফরোয়ার্ডের। ইনজুরির কারণে লুইস এনরিকের সাম্প্রতিক স্প্যানিশ জাতীয় দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন ফাতি।
এ কারণেই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে মরিয়া হয়ে আছেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড। লেভানদোভস্কির গোলের মূল কারিগর ছিলেন তিনি। ১৫ মিনিটে মায়োর্কা সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু পোস্টের খুব কাছে থেকে জমে কস্তার শট দারুনভাবে রক্ষা করেন টার স্টেগান।
এক গোলে এগিয়ে থাকার পরও বার্সেলোনা আর সেভাবে কোন সুযোগ তৈরী করতে পারেনি। তার উপর বেশ কিছু হলুদ কার্ডে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা শেষ পর্যন্ত আর বেশী আগ্রাসী ভূমিকা দেখাতে পারেনি।