অভিবাসীদের জন্য কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন
প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রোববার
অভিবাসীদের-জন্য-কঠোর-হচ্ছে-ব্রিটেন
দ্যা সান অন সানডে পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান।
ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক কনফারেন্সকে সামনে রেখে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় বংশোদ্ভত ব্রিটেনের মন্ত্রী সুয়েলা বলেন, ২০১৯ সালে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের অভিবাসী কমানোর জোর দেব।
ব্রেক্সিটের পর কম মজুরির বেতনের ব্যাপারে বাধানিষেধ করায় ব্রিটেনের ব্যবসায়ীক গ্রুপ থেকে অভিযোগ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্তেং বলেন, দেশের অর্থনীতিকে বাড়ানোর জন্য আমরা অভিবাসী নীতি পর্যালোচনা করব।
সুয়েলা বলেন, ট্রাসের নেতৃত্বাধানী মন্ত্রপরিষদ সভার সব শীর্ষ মন্ত্রীরা অভিবাসী কমানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটেনে আমরা অনেক কম দক্ষ লোককে আসতে দেখেছি। আমরা আমাদের দেশে অনেক আন্তর্জাতিক ছাত্রকেও আসতে দেখেছি। তাদের সঙ্গে স্ত্রী বা স্বামীরাও আসছেন। যারা ব্রিটেনে আসেন তারা কাজের প্রয়োজনে আসেন না। তাই তারা কম দক্ষতা নিয়ে কাজ করেন। এজন্য তাদের দ্বারা ব্রিটেনের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে না।
ব্রিটেনে কৃষি, পর্যটন ও কিছু প্রস্তুতকারক খাতে খুব কম মজুরিতে কাজ করানো হয়। তাই স্পন্সর ভিসায় কোনো শ্রমিককে আনতে হলে তাকে বার্ষিক ২৫ হাজার ৬০০ পাউন্ড পরিশোধ করতে হবে। এটি ২০২১ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
ব্রিটেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক কর্মীর সংখ্যা কমে গেছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া অন্যান্য দেশের কর্মীদের দ্বারা সেটি পুষিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত থেকে সেই কর্মীরা আসছেন।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ব্রিটেনের মোট অভিবাসীর সংখ্যা দুই লাখ ৩৯ হাজার।
সুয়েলা বলেন, আমরা ব্রিটেনে জোরপূর্বক শ্রমিক খাটানো বা মানবপাচার রোধ করতে চাই, যা এখন আধুনিক দাসত্ব হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।
সূত্র- রয়টার্স।