মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিয়ানমারে যাত্রীবাহী বিমান লক্ষ্য করে গুলি

প্রকাশিত : ১০:৫০ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

মিয়ানমারে-যাত্রীবাহী-বিমান-লক্ষ্য-করে-গুলি

মিয়ানমারে-যাত্রীবাহী-বিমান-লক্ষ্য-করে-গুলি

মিয়ানমারে মাঝ আকাশেই যাত্রীবাহী একটি বিমান লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা হয়েছে। এতে এক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে মিয়ানমারের কায়াহ প্রদেশের রাজধানী লোইকোতে এ ঘটনা ঘটে। বিমানটিতে এ সময় ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, হামলার সময় বিমানটি প্রায় ১ হাজার মিটার (৩ হাজার ২৮০ ফুট) ওপরে ছিল। দূরপাল্লার মেশিনগান দিয়ে মিয়ানমারের সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থার ওই বিমানটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে বিমানটির বাইরের কাঠামো ভেদ করে এক যাত্রীর গায়ে গুলি লাগে।

বিমানটি নিরাপদে অবতরণের পর আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বন্দুক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজটিকেও মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে ওয়ার্কশপে।

আরো পড়ুন>> ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

এদিকে, বন্দুক হামলা সত্ত্বেও উড়োজাহাজটিকে লোইকোর বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হওয়া পাইলট ও কেবিন ক্রুদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন। পাশাপাশি বলেছেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে প্রয়োাজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার।

গ্লোবাল নিউ লাইট পত্রিকাকে জাও মিন তুন বলেন, ‘প্লেনের ফুসেলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একজন যাত্রী আহত হয়েছেন…তবে পাইলট ও কেবিন ক্রুরা যদি আতঙ্কিত হয়ে ঠিকমতো অবতরণ না করতে পারতেন, তাহলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারত। তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

‘পাশাপাশি আরও বলছি, যারা এই নিষ্ঠুর পরিকল্পনা ও হামলার সঙ্গে যুক্ত— নিরাপত্তা বাহিনী অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনবে।’

আরো পড়ুন>> প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকায় স্বামীর জন্য কেনা কফিন বিক্রি করে দিলেন স্ত্রী

তিনি সরাসরি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করেননি। তবে সামরিক সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন্নি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টির হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

মিয়ানমারে কয়েকটি সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। সেসবের মধ্যে কারেন্নি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি অন্যতম। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় তিন প্রদেশ কারেন, কায়াহ ও কাচিনজুড়ে তাদের সংগঠন ও কার্যক্রম বিস্তৃত।

তবে কারেন্নি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি বন্দুক হামলার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পার্টির শীর্ষ নেতা খু ড্যানিয়েল মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলেই তার দায় চাপানো জান্তার স্বভাব। এবারও তারা তাই করছে।’

‘কিন্তু তাদের এই অভিযোগ সত্য নয়। কারণ আমাদের পার্টির সামরিক উইং আজ সকালে কোনো অপারেশনে যায়নি।’