স্বামীকে কাছে পেতে ওঝার কাছে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
স্বামীকে-কাছে-পেতে-ওঝার-কাছে-গিয়ে-গণধর্ষণের-শিকার-গৃহবধূ
শনিবার ভোর রাতে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউপির চরপাড়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। আটক শহীদুল ইসলাম মুসল্লি, মালেক হাওলাদার ও আলমগীর হোসেন এদের সবার বাড়ি ওই ইউপির চরপাড়া গ্রামে।
এছাড়া ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাড়ি ঢাকার নারায়ণগঞ্জ এলাকায়। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ২০১৯ সালে পারিবারিকভাবে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে বিরোধের সৃষ্টি হলে তিনি তার বাবার বাসায় বসবাস শুরু করেন। আর সেখানেই বাবার বাসার পাশে একই ফ্ল্যাটের বাসীন্দা অভিযুক্ত মালেক হাওলাদারের মেয়ে শিল্পীর সঙ্গে পরিচয় হয় গৃহবধূর। তার সঙ্গে সখ্যতার এক পর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি শিল্পীকে জানান ভুক্তভোগী। পরে ওঝার মাধ্যমে স্বামীকে বসে আনার পরামর্শ দেন শিল্পী।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত ওঝা শহীদুলকে গত রমজান মাসে ভুক্তভোগীর বাসায় নেয়া হলে সেখানে ২০ হাজার টাকায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। এর পর থেকে টাকা নিয়ে তদবির দেয়াসহ বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতেন শহীদুল।
সর্বশেষ গৃহবধূকে তদবির নিতে ওঝার নিজ বাড়ি চরপাড়ায় আসতে বলেন শহীদুল। তার কথানুযায়ী নারায়ণগঞ্জ থেকে বাসযোগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর শহীদুলের বাড়িতে তদবির নিতে আসেন ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী। তবে একদিন শহীদুলের বাড়িতে তার স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রী যাপনের পর পরের দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অভিযুক্ত শহীদুল, আলমগীর কৌশলে গৃহবধূকে মালেকের খালি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ঘরের দোতালায় আটকে রেখে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সহায়তায় তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ধান খেতে লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এছাড়া ওই রাতে তাকে শহীদুলের বাড়িতে রেখে পরেরদিন ঢাকায় পাঠায় অভিযুক্তরা। পরে ঢাকায় গিয়ে স্বজনদের কাছে বিস্তারিত জানালে তাদের পরামর্শনুযায়ী শুক্রবার কলাপাড়া থানায় গিয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ ৬ জনের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওইর গৃহবধূ।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসীম জানান, অভিযোগ পেয়ে শনিবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।