খাটের নিচ থেকে বের করে বুকে চালান গুলি
প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
খাটের-নিচ-থেকে-বের-করে-বুকে-চালান-গুলি
এর আগে, শুক্রবার নগরের বায়োজিদ বোস্তামী থানার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন ও চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার কামাল উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মাইশাবাম এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। গ্রেফতার অন্যজন হলেন, মো. ইউসুফ। তিনি একই এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব জানায়, পূর্ব বিরোধের জেরে গত ১৯ জুলাই রাতে দলবল নিয়ে এনাম উদ্দিনের ঘরের সামনে যান কামাল ও ইউসুফ। যাওয়ার পর এনামের নাম ধরে ডাকাডাকির একপর্যায়ে তার স্ত্রী বেরিয়ে আসেন। এরপর ডাকাডাকির কারণ জানতে চাইলে এনামের স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন তারা। এরপরই লাঠি দিয়ে এনামকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এনাম। ওই সময় তার স্ত্রী কৌশলে ঘরের বাতি বন্ধ করে দিলে মাটি থেকে উঠেই দৌড়ে পাশের একটি ঘরে ঢুকে খাটের নিচে অবস্থান নেন।
কিন্তু বিষয়টি নজর এড়ায়নি কামাল-ইউসুফদের। তারা ঘরে ঢুকে খাটের নিচ থেকে এনামকে বের করে এনে সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তার বুকের ওপর গুলি চালান। গুলির পর মাটিতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন এনাম। ওই সময় ঘাতকরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার বুকের ওপর পা দিয়ে চাপ দেন এবং কপালে ও নাকের ওপর গুলি করেন।
পরে স্থানীয়রা এনামকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পরদিন ২০ জুলাই রাঙ্গুনিয়া থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই।
র্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার বলেন, মামলার পর জড়িতদের ধরতে নজরদারি শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ভোরে বায়োজিদ বোস্তামী থানার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন ও চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকা থেকে অন্যতম প্রধান আসামি কামাল উদ্দিনসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তারা। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।