বুরকিনা ফাসোতে অভ্যুত্থানে উৎখাত হলো সামরিক সরকার
প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
বুরকিনা-ফাসোতে-অভ্যুত্থানে-উৎখাত-হলো-সামরিক-সরকার
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাল হেনরি ডেমিইবার পরিচালিত সরকারের সব নীতি এবং অন্তবর্তীকালীন সনদ বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভ্যুত্থানে জড়িত সেনারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
শুক্রবার রাতের দিকে জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে বলেন, ইসলামিক বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে গিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ডেমিইবার অদক্ষতার জন্য তাকে সরিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার একটি দল।
তিনি আরো বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্তগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং সবধরনের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের কার্যক্রম বাতিল করা হলো।
দক্ষিণ আফ্রিকার এ দেশে আট মাসের মাথায় দ্বিতীয়বার সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। গত জানুয়ারিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রক মার্ককে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন ডেমিইবা। তখন ডেমিইবা ও তার মিত্ররা দেশকে নিরাপদ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। তবে বুরকিনা ফাসোতে কয়েক মাস ধরে সংঘাত ও হতাহত অপ্রতিরোধ্যভাবে বাড়ায় তার নেতৃত্ব নিয়ে হতাশা সৃষ্টি হয়।
বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাডুগুতে গোলাগুলি চলার সময়ই সামরিক সরকারকে উৎখাত করার ঘোষণা আসলো। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে আমরা নিরাপত্তা ইস্যুতে বদল আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিবৃতিতে সৈন্যরা বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই সবাইকে তাদের প্রতিজ্ঞা ও বুরকিনার শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজকে সম্মান করার আহ্বান জানান।
এ পরিস্থিতির মধ্যে বুরকিনা ফাসোতে অনিশ্চয়তা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বুরকিনা ফাসোতে শান্তি প্রয়োজন, স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন অংশে অপরাধীদের নেটওয়ার্ক এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সবার ঐক্যবদ্ধতা প্রয়োজন।
বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাডুগুতে কিছু লোককে বর্তমান সামরিক সরকারের পতনকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে নতুন নেতাদের স্বাগতও জানাচ্ছেন তারা।