স্বামীকে অপহরণ করতে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেন স্ত্রী
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
স্বামীকে-অপহরণ-করতে-সন্ত্রাসীদের-ভাড়া-করেন-স্ত্রী
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী স্বামী আ. সালাম বাদী হয়ে স্ত্রী রাবেয়া বেগম আনু (২৮) ও আটক পাঁচজনসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানার মৃত হাবিবুল্লাহর পুত্র মো. রাহাত (৪১), ফতুল্লা মডেল থানার শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকার বড় বাড়ির সালাউদ্দিনের পুত্র রাকিব (২৮), একই এলাকার আলী আফসারের পুত্র রাশেদুল ইসলাম (৩০), শিয়াচর তক্কার মাঠস্থ হিমাচল মাঠ সংলগ্ন জজ মিয়ার পুত্র রাসেল (২৯) ও লালখাঁ পিটিআই ভবন সংলগ্ন আব্দুর রউফ মিয়ার পুত্র শাওন (৩৪)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকায় কে.এস. এস এমব্রয়ডারি নামক কারখানা দিয়ে আ. সালাম ব্যবসা পরিচালনা করে আসিতেন। তিনি দীর্ঘ আট বছর পূর্বে ভোলা জেলার সদর থানার দেলোয়ার জমাদ্দারের মেয়ে রাবেয়া বেগম অনুকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় চার বছর পূর্বে স্ত্রী অনু তাকে ছেড়ে চলে যান। এসব বিষয়াদি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। বাদী সে মামলায় জামিনে রয়েছেন। কিন্তু বাদীর স্ত্রী তার নিকট বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্কের টাকা দাবিসহ এমব্রয়ডারি কারখানা দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৭টার দিকে কিছু সন্ত্রাসী আ. সালামের কারখানায় প্রবেশ করে তার থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করে তাকে মারধর করেন। পরে তাকে অপহরণ করতে চাইলে কারখনার শ্রমিকরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের আটক করে। তবে এ সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন অনুসহ আরো কয়েক সন্ত্রাসী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন খান জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আ. সালামের মালিকানাধীন কারখানায় গিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আ. সালাম বাদী হয়ে তার স্ত্রী ও আটক পাঁচজনসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও অপর পলাতক আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।