ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা পুতিনের
প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
ইউক্রেনের-চার-অঞ্চলকে-রুশ-ভূখণ্ডে-অন্তর্ভুক্তির-ঘোষণা-পুতিনের
ক্রেমলিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যকালে তিনি এ ঘোষণা করেন।
পুতিন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝজিয়ার অন্তর্ভুক্তি ছিল মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের ইচ্ছা।পুতিনের বক্তব্যের সময় উচ্ছ্বসিত দর্শকরা তার প্রশংসা করেন। এর মধ্যে ইউক্রেনের চার অঞ্চলে মস্কো সমর্থিত নেতারাও ছিলেন।
দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝজিয়াকে যুক্ত করার ভোটকে অবৈধ বলছে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। তাদের অভিযোগ, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে এবং এর ফলাফল অর্থহীন। তবে মস্কো বলছে, স্থানীয়দের ভোটের ভিত্তিতেই রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে যুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, ইউক্রেনে দখলকৃত চার অঞ্চলে অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফলের প্রেক্ষিতে সেগুলো রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত করার কথা জানায় বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দেমেত্রি পেসকভ বলেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় দ্যা গ্র্যান্ড ক্রেমলিন পেলেসের জর্জিয়ান হলে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে চারটি অঞ্চলের সাক্ষর অনুষ্ঠান হবে।
ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝজিয়া অঞ্চলগুলো দখল করে রেখেছে রাশিয়ার সেনারা। গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সেখানে সেনাদের পাঠান ভ্লাদিমির পুতিন। সেই অবস্থায় মস্কো নিয়ন্ত্রিত চার অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সেখানে ক্রেমলিনের সমর্থিত কর্মকর্তা বলছেন, এ সপ্তাহে গণভোটের রায় অনুযায়ী রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে চার অঞ্চল।
ইউক্রেনের কাছ থেকে গত আট বছর আগে হামলা ও গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করেছিল রাশিয়া। সেই একই পদ্ধতিতে ইউক্রেনের দখলকৃত চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করছে মস্কো। এতে পশ্চিমা সমর্থিত ইউক্রেনীয় বাহিনী ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ আরো তীব্র হতে পারে।
পশ্চিমারা সতর্ক করে বলছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত চার অঞ্চলকে যুক্ত করতে যেন রাশিয়া চাপ না দেয়। এছাড়া ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করলে স্বীকৃতিও দেবে না পশ্চিমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট জি-৭।
এদিকে, ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ডে নিতে রাশিয়ার পদক্ষেপের জবাব দিতে পশ্চিমাদের কাছে সামরিক সহায়তার জন্য আকুতি করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।