কিশোরগঞ্জে রাহাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
কিশোরগঞ্জে-রাহাত-হত্যা-মামলার-প্রধান-আসামি-গ্রেফতার
বুধবার বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এসপি মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
নিহত আবির হাসান রাহাত পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি এলাকার আনোয়ারুল হকের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘাতক জোবায়ের হাসান বসবাস করেন শহরের গাইটাল এলাকায়। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
এসপি জানান, পারিবারিক বিরোধ থেকে চাচা আনোয়ারুল হকের প্রতি ক্ষোভের জেরে চাচাতো ভাই রাহাতকে হত্যা করেন জোবায়ের। হত্যার পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর নিহত রাহাতের মা মাহমুদা সুলতানা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
রাহাত ও জুবায়েরের বাবা-চাচারা সাত ভাই। জুবায়েরের বাবা সব সময় রাহাতের বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নিতেন। তা জুবায়েরের ভালো লাগতো না। জুবায়ের চেয়েছিল কিশোরগঞ্জ শহরে বাসা করতে। জুবায়েরের বাবা-মা ও বড় ভাই রাহাতের বাবার কাছে যান শহরে বাসা করার পরামর্শের জন্য। তখন রাহাতের বাবা বাড়ি না করার পরামর্শ দেন। সেই থেকে জুবায়েরের মনে ক্ষোভের জন্ম নেয়। পরে ঘটনার দিন প্রথমে রাহাতকে বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়, পরে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে জুবায়ের পালিয়ে যান। প্রথমে তিনি ঢাকা তারপর নোয়াখালী পরে খুলনা ঘুরে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার খালিয়াজুড়িতে অবস্থান নেন। সেখান থেকে জেলা পুলিশের একটি দল ও জেলা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার অপর তিন আসামি হলেন জুবায়েরের মা মাহমুদা আক্তার, বাবা শহিদুল হক খন্দকার ও বোন আরিফা সুলতানা। তারাদেরকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে জুবায়েরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসপি মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
গত ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ঘাতক জোবায়েরের বড় বোনের ভাড়া বাসায় বুকে ও গলায় ছুরিকাঘাত করে রাহাতকে হত্যা করেন জোবায়ের। হত্যার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।