মারাকেশ চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
মারাকেশ-চুক্তি-অনুস্বাক্ষর-করেছে-বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূত বলেন, মারাকেশ চুক্তি অনুস্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশের কয়েক লাখ অন্ধ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অথবা বই পড়তে সক্ষম নন এমন ব্যক্তির জন্য বই পড়ার অবারিত সুযোগ উন্মোচিত হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৭ জুন বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা মরক্কোর মারাকেশে একটি সম্মেলনে মারাকাশ চুক্তি চূড়ান্ত হয়।
এটি বাস্তবায়ন হয় ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের আগে ৮৯টি দেশ ঐ চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছে। প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা আগেই ঐ চুক্তিটি অনুস্বাক্ষর করে।
এ চুক্তির ফলে সম্পূর্ণ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি, ক্ষীণ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং কোসে না কোনোভাবে পঠন প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তির জন্য ব্রেইল, অডিও অথবা বড় হরফে বই এবং দলিলাদি মুদ্রন করা যাবে। এক্ষেত্রে লেখকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। তবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে কাজটি করতে পারবে না।
মারাকাশ চুক্তি অনুস্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর ঐ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছিলেন।
তাদের অভিযোগ ছিল- বাংলাদেশ মারাকেশ চুক্তি অনুস্বাক্ষর না করায় তাদের উচ্চ শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। একটি বই ব্রেইল করতে হলে সেই বইয়ের লেখকের অনুমতি নিতে হয়। সেক্ষেত্রে একটি অনুমতি পেতে পেতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লেগে যায়। অনুমতি ছাড়া ব্রেইল করলে মামলার ঝুঁকি থাকে।
রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিশ মেধাসত্ব সংস্থার মহাপরিচালককে বলেছেন, মারাকাশ চুক্তি বাস্তবায়নে এর বিভিন্ন ধারা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের দেশীয় আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এজন্য দেশীয় আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিশ্ব মেধাসত্ব সংস্থার মহাপরিচালক ড্যারেন টাং বলেন, এ চুক্তি অনুস্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশের সাড়ে তিন লাখেরও বেশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিশেষভাবে মুদ্রিত বা উপস্থাপিত প্রায় ১০ লাখ বই ব্যবহারে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন, এর ফলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণদের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।