শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুর পাল্টেছেন মরিয়ম মান্নান

প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

সুর-পাল্টেছেন-মরিয়ম-মান্নান

সুর-পাল্টেছেন-মরিয়ম-মান্নান

সম্পর্কিত খবর মরিয়ম মান্নানের মাকে পিবিআইতে হস্তান্তর মা রহিমার আত্মগোপনে মরিয়ম মান্নান জড়িত! খুলনার বহুল আলোচিত রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পায়নি তদন্তে পিবিআই। বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক সাজান তারা। ফলে ফেঁসে যাচ্ছেন রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা। শুধু কি তাই, রহিমার মেয়ে মরিয়ম এখন তার পাল্টেছেন তার সুর। বলেছেন, ভুল-অন্যায় থাকলে সংশোধন করবেন মা অথবা তিনি। এদিকে কথিত অপহরণ মামলায় সহসা মুক্তি মিলছে না আটক ৬ জনের।

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা আদালতে জবানবন্দিতে অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো রেল লাইনই নেই। এছাড়া রহিমা যে ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়েছিলেন তারও প্রমাণ মিলেছে। রহিমাকে উদ্ধারের পর এখন সুর পাল্টেছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তিনি বলছেন, তার মা অথবা নিজের ভুল থাকলে সংশোধন করবেন।

তিনি বলেন, আমরা অপহরণ মামলাটি খুব ভালোভাবে তদন্ত করে চলেছি। সবকিছু আমলে নিয়েই সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তদন্তের সঙ্গে রহিমা বেগমের জবানবন্দির কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না।

জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা (রহিমা ও তার সন্তান) অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন বলে মনে করছে পিবিআই। এতে  উল্টো ফেঁসে যেতে পারেন রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা। তবে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জন মুক্তি নাও পেতে পারেন বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

তিনি আরো বলেন, তদন্ত শেষে যদি প্রমাণিত হয় যে অপহরণ মামলাটি মিথ্যা তাহলে যারা গ্রেফতার রয়েছেন তারা রহিমা ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


প্রসঙ্গত, ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম। এরপর আর বাসায় ফেরেননি তিনি। খোঁজ নিতে গিয়ে সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত জুতা, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। এরপর সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন তার ছোট মেয়ে আদুরি আক্তার। এ মামলা তদন্তকালে পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করে।