মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাফজয়ী সাত ফুটবলার পেয়েছেন বিদেশি ক্লাবে খেলার প্রস্তাব 

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

সাফজয়ী-সাত-ফুটবলার-পেয়েছেন-বিদেশি-ক্লাবে-খেলার-প্রস্তাব 

সাফজয়ী-সাত-ফুটবলার-পেয়েছেন-বিদেশি-ক্লাবে-খেলার-প্রস্তাব 

সাফজয়ী অন্তত সাতজন নারী ফুটবলারের জন্য খুলে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলের দুয়ার। জানা গেছে, আঁখি, স্বপ্না, কৃষ্ণাসহ সাত ফুটবলারকে দলে ভেড়াতে বাফুফেকে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কিছু ক্লাব মৌখিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের স্ট্র্যাটেজিক ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি।

মাত্র একটা ট্রফি বদলে দিয়েছে সব। যা এখন হাতছানি দিচ্ছে নতুন দিগন্তের। দশরথ রঙ্গশালায় সাফ ফাইনালে ইতিহাস গড়েছে বাংলার মেয়েরা। ভারতের সঙ্গে গ্রুপপর্বের ম্যাচ আর ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে ১৫ হাজার দর্শকের চাপ সামলাতে হয়েছে সাবিনাদের।

বিগ ম্যাচগুলোয় আন্তর্জাতিক ফুটবল এজেন্টদের চোখ থাকে। পাঁচবারের নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩-০ গোলে হারানো, ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয়াটা বেশকিছু এজেন্টের নজরে এসেছে।

অতীতে সাবিনা ছাড়া বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ হয়নি কারো। সাফ জয়ের পর আঁখি খাতুন, স্বপ্না, কৃষ্ণাসহ দলের ৭ ফুটবলারের ইউরোপিয়ান ও এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে খেলার মৌখিক প্রস্তাব এসেছে। যেখানে আছে সুইডেনের নামও।

যদি সেটা সত্যি হয়, তবে আরো একবার ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলার মেয়েরা। কেন না এখন পর্যন্ত ইউরোপিয়ান লিগে খেলতে যেতে পারেনি কোনো বাংলাদেশি ফুটবলার।

এ বিষয়ে পল স্মলি বলেন, ‘ইউরোপ ও এশিয়ায় আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রস্তাব এসেছে। সাফজয়ী বাংলাদেশের সাত ফুটবলারকে দলে নিতে তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। সাফের ম্যাচগুলোতে সাবিনাদের খেলা তাদের ভালো লেগেছে। মেয়েরা ইউরোপিয়ান লিগে খেলতে পারলে সেটা দেশের ফুটবলের জন্য দারুণ হবে।’

সাফজয়ী নারী দলের সামনে এশিয়ান গেমসসহ আন্তর্জাতিক ম্যাচের ব্যস্ত সূচি। আগামী বছর আছে নারীদের কমপক্ষে দুটি সাফ আসর। বছরের শেষ দিকে রয়েছে বাফুফে নারী ফুটবল লিগ। এসব বিষয় মাথায় রেখে সবার সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েদের পাঠানোর বিষয়ে আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

পল স্মলি বলেন, ‘সামনে মেয়েদের অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। বিদেশি লিগে খেলতে যেতে বেশকিছু বিধিনিষেধও আছে। বেশি ম্যাচ খেলে ফুটবলাররা যেন ইনজুরিতে না পড়ে সেটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের আরও ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগবে।’

বাংলাদেশের কাজী সালাহউদ্দিন, রুম্মান বিন ওয়ালিদ সাব্বির, মোমেন মুন্নার মতো কিংবদন্তি ফুটবলাররা এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ক্লাব ফুটবল লিগে খেললেও কখনো ইউরোপের ফুটবল ক্লাবে খেলতে পারেননি। মেয়েরা হয়তো এবার সেই অপেক্ষারও অবসান করবে।