শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুবকের ফাঁদ: ছেলেদের জন্য ‘ফারজানা আক্তার’, মেয়ে হলে ‘মন আমার উড়ন্ত পাখি’

প্রকাশিত : ১১:১৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

যুবকের-ফাঁদ-ছেলেদের-জন্য-ফারজানা-আক্তার-মেয়ে-হলে-মন-আমার-উড়ন্ত-পাখি

যুবকের-ফাঁদ-ছেলেদের-জন্য-ফারজানা-আক্তার-মেয়ে-হলে-মন-আমার-উড়ন্ত-পাখি

কুমিল্লায় মোবাইল ফোন রিচার্জের দোকান রয়েছে রামকৃষ্ণ দেবনাথ ওরফে ইমনের (৩৮)। কাজের ফাঁকেই বিভিন্ন ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারণা করে আসছিলেন। এমনকি প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের গোপন ছবিও সংগ্রহ করেন তিনি।

ইমনের বিভিন্ন ফেসবুক আইডির মধ্যে ছেলেদের সঙ্গে ‘ফারজানা আক্তার’ নামের আইডি দিয়ে এবং ‘মন আমার উড়ন্ত পাখি’ আইডি দিয়ে মেয়েদের সাথে প্রতারণা করছিলেন। 

মঙ্গলবার সকালে ইমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইমন ‘মন আমার উড়ন্ত পাখি’ নামে একটি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে রাজধানীর একটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একদিন সেই শিক্ষার্থীর সাথে গোসল করার সময় ভিডিও কলে কথা বলেন তিনি এবং সেই ছবি তুলে রাখেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ছাত্রীর কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ওই শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগ করলে ইমনকে গ্রেফতার করা হয়।

রিচার্জের দোকানদার ইমনের প্রতারণার মূল উৎস তার ব্যবসা থেকেই প্রাপ্ত তথ্য! তার কাছে যেসব মেয়ে রিচার্জ করতে আসতেন তাদের নম্বর নোট করে রাখতেন। পরে সেসব নম্বরেই যোগাযোগ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। এরপর ফুসলিয়ে তাদের নগ্ন, আপত্তিকর ছবি সংগ্রহ করতেন। যারা এই ছবি দেন, তারাই তার জালে আটকা পড়েন।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন আরও বলেন, গ্রেফতার ইমন বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করতেন।   তবে কোনো আইডি দিয়ে প্রতারণা শেষ হলে সেটি বন্ধ করে দিতেন। সর্বশেষ তার পাঁচটি আইডি সচল হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- মন আমার উড়ন্ত পাখি, মেঘলা আক্তার, ফারজানা আক্তার, ঢাকাইয়া পোলা, হঠাৎ বৃষ্টি। এগুলোর মধ্যে মন আমার উড়ন্ত পাখি আইডি দিয়ে মেয়েদের সঙ্গে এবং ফারজানা আক্তার দিয়ে ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন। ছেলেদের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করেন এই মেয়ের আইডি দিয়েই! ছেলেরা ফারজানা মনে করে ইমনের সঙ্গেই চ্যাট করতেন।

ইমনের কুমিল্লায় ছোট একটি দোকানে মোবাইল ফোন রিচার্জ কার্ড বিক্রি এবং রিচার্জ করা হয়। কিন্তু তিনি মেয়েদের কাছে নিজের পরিচয় দিতেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হিসেবে! নারায়ণগঞ্জে তার দুটি গার্মেন্টস আছে বলে দাবি করতেন তিনি।