সলঙ্গা থানা বিএনপির নেতৃত্বে বিতর্কিতরা
প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
সলঙ্গা-থানা-বিএনপির-নেতৃত্বে-বিতর্কিতরা
বিক্ষুব্ধ পাঁচটি ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের দাবি, সম্মেলনের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। একইভাবে থানা বিএনপির কমিটিও সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করতে হবে। কিন্তু তা না করে জেলা বিএনপি গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মতিয়ার রহমান সরকারকে সভাপতি, এসএম গোলাম হোসেনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, রাজাকারপুত্র আব্দুল আলীম সরকারকে সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল লতিফ সরকারকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, হেদায়েতুল হক আইয়ুব এবং মাদক কারবারি আব্দুল মজিদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ছয় সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে।
এ আংশিক কমিটি গঠনের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সলঙ্গা থানা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীসহ সলঙ্গা, হাটিকুমরুল, রামকৃষ্ণপুর, ধুবিল ও নলকা ইউনিয়নের নেতারা ২৫ সেপ্টেম্বর সলঙ্গা বাজারের একটি হোটেলে বৈঠক করে এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। একইসঙ্গে এ বৈঠকে উপস্থিত থেকে থানা বিএনপির ছয় সদস্যের আংশিক কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম গোলাম হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ সরকার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল হক আইয়ুব পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
থানা বিএনপির আংশিক কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে চাওয়া নেতারা জানান, রাজাকারপুত্র ও মাদক কারবারিদের পদ দিয়ে এ কমিটি বিতর্কিত করা হয়েছে। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। রাজাকারপুত্র আব্দুল আলীমকে নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আর আব্দুল মজিদকে পুলিশ সম্প্রতি হেরোইনসহ আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
এছাড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা থানার আংশিক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে জানান, তারা এ কমিটির কোনো কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করবেন না।