ক্যাম্পকে মাদক-চোরাচালানের রাজ্য বানিয়েছে রোহিঙ্গারা
প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
ক্যাম্পকে-মাদক-চোরাচালানের-রাজ্য-বানিয়েছে-রোহিঙ্গারা
স্থানীয়রা জানান, এই ক্যাম্পের বাংলাদেশের অংশে কিছুটা বিশেষ ‘সুরক্ষা’ থাকলেও মিয়ানমার অংশে রয়েছে অবাধ চলাচল। যার ফলে এই ক্যাম্প হয়ে উঠেছে মাদক পাচার ও সোনাসহ চোরাচালানের ‘হটস্পট’।
সীমান্তের শূন্য রেখার কাছাকাছি স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের নানা অপকর্মের অপকর্মের শেষ নেই।
তুমব্রু বাজার ব্যবসায়ী নেতা আবুল কালাম সিদ্দিকী বলেন, শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প দিয়ে ইয়াবা, স্বর্ণেরবার, সিগারেটসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য বাংলাদেশে পাচার হয়।
স্থানীয় এক আনসার সদস্য জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশির ভাগ বাড়িতেই থাকে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবা ও দামি সিগারেটসহ নানা চোরাই পণ্য। অনেক ঘরে সোনারবারও রয়েছে।
ক্যাম্প লাগোয়া তুমব্রু উত্তরপাড়ার সলিম উদ্দীন জানান, মিয়ানমারে গিয়ে রাখাইনদের কাছ থেকে ইয়াবা, স্বর্ণ, সিগারেটসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য নিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। এভাবে প্রায়ই সময় এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বড় বড় ইয়াবার চালান।
স্থানীয় একাধিক বাংলাদেশি নাগরিক জানান, শূন্য রেখার এই ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আল ইয়াকিন’র দলভুক্ত অনেকে রয়েছেন। এমনকি এই দুর্ধর্ষ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও যাতায়াত করেন এখানে। মূলত ‘আল ইয়াকিন’ সদস্য ও ক্যাম্পের নেতৃপর্যায়ের রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে এই ক্যাম্প হয়ে উঠেছে মাদক-চোরাচালানের ‘হট স্পট।
একজন ইউপি সদস্য বলেন, শুধু চোরাচালান নয়, এমন কোনো অপরাধ নেই যা রোহিঙ্গারা করে না।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) ৩৪ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হোসাইন বলেন, ‘এই ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের চোরাচালানের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এই বিষয়ে স্থানীয়রাও আমাদের অভিযোগ জানায় না। তারপরও আমরা বিষয়টি দেখব।