প্রেমের নামে অপহরণ, ছিল ‘অসৎ উদ্দেশ্য’
প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
প্রেমের-নামে-অপহরণ-ছিল-অসৎ-উদ্দেশ্য
মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার। এর আগে সোমবার রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার দৌলতপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দারাবাদ এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মনির হোসেন এবং তার দুই সহযোগী সকিনা আক্তার ওরফে ফারজানা ও শিমুল আক্তার।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। বাবা মারা যাওয়ায় লেখাপড়া আর এগোয়নি। গ্রেফতার মনির হোসেন সম্পর্কে ভুক্তভোগীর মায়ের ভাগনে হন। সেই সুবাধে প্রায়ই তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন মনির। আগের তিনটি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মনির। ভুক্তভোগীর মা সেই বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এবং তার নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ কিংবা উত্যক্ত করতে নিষেধ করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীর মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন মনির। একই সঙ্গে যেকোনো সময় তার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুলাই দুপুরে কাজের জন্য বাসা থেকে বের হতেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীকে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপহরণ করেন মনির।
এদিকে, সন্ধ্যা পর্যন্ত মেয়ে বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে নগরের ডবলমুরিং থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগীর মা। পরবর্তীতে মনির হোসেন ও সহযোগী রাকিব মিলে তার মেয়েকে অপহরণ করেছেন বলে স্বজনের কাছ থেকে জানতে পারেন। এরপর ২৮ জুলাই ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন তিনি।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার বলেন, মামলার পর অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে নজরদারি শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার দৌলতপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার ও দুই সহযোগীসহ মূলহোতা মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিন হাজার ৭৫২ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, দুই মাস আগে সহযোগী রাকিবের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের লোভ-লালসা ও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে অপহরণ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান মনির। অপহরণের পর তাকে ফ্ল্যাটে আটকে রেখে মাদকাসক্ত করার পর মাদক পাচারের কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল তাদের। গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কিশোরীকে ডবলমুরিং থানার মামলায় হস্তান্তর করা হয়েছে।