ইরানে বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৭৬, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
ইরানে-বিক্ষোভে-নিহত-বেড়ে-৭৬-যুক্তরাষ্ট্রের-বিরুদ্ধে-উস্কানি-দেওয়ার-অভিযোগ
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পোশাকবিধি না মানার অভিযোগে মাশা আমিনিকে তেহরান থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ (মোরালিটি পুলিশ)। তিন দিন পর শুক্রবার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ।
ইরান হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইরানের অন্তত ৮০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের আশপাশের শহরগুলোতে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে। এর আগে সরকার-সমর্থকেরাও সমাবেশ করেছে। ইরান সরকার বিক্ষোভকারীদের জমায়েত ঠেকাতে তেহরানে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরো পড়ুন>> গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জাপানি কূটনীতিককে বহিষ্কার করল রাশিয়া
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার বলেছে, তারা ইন্টারনেট পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য ইরানের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে যাচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক বলেছেন, তিনি ইরানে তার কোম্পানি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিষেবা চালু করার জন্য নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি চাইবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের কারণে দেশটির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযাগ এনেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির কানানি।
তিনি বলেছেন, ইরানের সার্বভৌমতা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলোর জবাব দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র উস্কানি দিচ্ছে এমন অভিযোগ করে গণমাধ্যম নূরকে মুখপাত্র নাসির কানানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইরানের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা দুর্বল করে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। যদিও এগুলো ব্যর্থ হয়েছে।
আরো পড়ুন>> সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে কলেরা, ২৯ জনের মৃত্যু
নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে নাসির কানানি বলেছেন, ‘বিক্ষোভকারীদের’ সহায়তা করে এমন ‘দুঃখজনক ঘটনার’ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু নেতা।
তিনি আরো বলেছেন, ইরানের রাস্তাঘাটে ও স্কয়ারগুলোতে থাকা লাখ লাখ মানুষদের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অবহেলা করছে তারা।
ইরান হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর পর তার জন্মস্থান কুর্দিস্তান থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। কিন্তু এখন তা কেবল কুর্দিস্তানে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গত বুধবার রাতেই ১১ জন মারা যান। দেশের উত্তরাঞ্চলের মাজান্দারান প্রদেশের আমল শহরে তাদের মৃত্যু হয়। একই দিনে একই প্রদেশের বাবল শহরে মারা যান আরো ৬ জন।
সূত্র: ডন নিউজ, আল-আরাবিয়া