সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নস্টালজিয়ার ঘ্রাণে ভরা ‘করতোয়া’, অতিথির অপেক্ষায় সাহানা বাজপেয়ীর পৈতৃক বাড়ি

প্রকাশিত : ০৩:৫৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

নস্টালজিয়ার-ঘ্রাণে-ভরা-করতোয়া-অতিথির-অপেক্ষায়-সাহানা-বাজপেয়ীর-পৈতৃক-বাড়ি

নস্টালজিয়ার-ঘ্রাণে-ভরা-করতোয়া-অতিথির-অপেক্ষায়-সাহানা-বাজপেয়ীর-পৈতৃক-বাড়ি

পাখির কলতানে উৎসবমুখর পরিবেশ। চারদিকে সবুজ চাদর; মাটির সোঁদা গন্ধ। নস্টালজিয়ার ঘ্রাণে ভরা চারপাশ। এরই মাঝখানে একটি ছোট্ট বাড়ি; বলা চলে আবেগ-ভালোবাসার আঁতুড়ঘর। এমনই এক শান্তির নীড়ে কয়েকটা দিন আরামসে কাটিয়ে আসতে পারবেন আপনিও। সবচেয়ে বড় কথা; বাড়িটা কার জানেন? এটি সাহানা বাজপেয়ীর!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে হাঁটাপথে মাত্র দশ মিনিটের দূরত্বেই এই নীড়। খোয়াই কিংবা সোনাঝুরির হাট— সেও নাগালের মধ্যেই।

সাহানা বাজপেয়ীকে আলাদাভাবে পরিচয় করানোর হয়তো দরকার নেই। যে বাড়ির কথা হচ্ছে, সেই বাড়িতেই বেড়ে ওঠা সঙ্গীতশিল্পী ও গবেষক সাহানা বাজপেয়ীর। এমনকি এই বাড়িতেই রেকর্ড হয়েছিল তার প্রথম গানের অ্যালবাম।

গবেষণা এবং কর্মসূত্রে স্বামী ও কন্যার সঙ্গে পাকাপাকিভাবে লন্ডনে স্থানান্তরিত হয়েছেন সাহানা বাজপেয়ী। কিন্তু যে বাড়িতে বেড়ে ওঠা তার, যেখানে জড়িয়ে রয়েছে আশৈশবের স্মৃতি—তা নিষ্প্রাণ ফেলে রাখা যায় নাকি? তাই পৈতৃক ভিটেকেই এবার ‘হোম স্টে’-র রূপ দিলেন সঙ্গীতশিল্পী। 

সাহানা বাজপেয়ী বলেন, আমার বন্ধুরা এই বাড়িতে এসে আড্ডা মারতো, ফুটবল ম্যাচ দেখত বাবার সঙ্গে। বাবার বন্ধুরাও আসতেন। এখন বাবা-মা কেউ নেই। আমি চাইছিলাম, বাড়িটা একলা না থাকুক। বিদেশে চলে আসার আগে বাড়ির নিচের তলাটা সংস্কার করি। বাবা-মা যা যা আসবাবপত্র রেখে গিয়েছিলেন, সে-সব একইরকম রেখেছি।

বাড়িটা কার জানেন? এটি সাহানা বাজপেয়ীর! ছবি: সংগৃহীত

‘করতোয়া’— শান্তিনিকেতনের রতনপল্লীর এই বাড়ির বয়স পেরিয়েছে সত্তরের কোঠা। লাল মেঝে, বেতের চেয়ার, সাবেকি ল্যাম্পশেড, খোলা বারান্দা— এসব কিছুতেই আন্দাজ করা যাবে তার বয়স। খুঁজে পাওয়া যাবে অতীতের গন্ধ। পাশাপাশি এই নস্টালজিয়ার সঙ্গ দেবে আলমারিতে সাজানো থরে থরে বইপত্র।

যত্নে গড়ে তোলা এই সাধনার মন্দিরে যাতে প্রাণহীন হয়ে না পড়ে থাকে, সে-কারণেই তা হোম স্টে-তে বদলে ফেলেছেন সাহানা। চাইছেন সমচিন্তক মানুষরা আবার প্রাণ ফিরিয়ে আনুক এই বাড়ির। না-ই বা থালল কোনো স্থায়ী বাসিন্দা, দু-তিন দিনের অতিথিরাও ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলতে পারে এই শান্তির নীড়কে, তাতে সন্দেহ নেই কোনো…!