মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভয়াবহ ঝড়ের তাণ্ডব, সাগরে ভেসে যাচ্ছে আস্ত বাড়ি

প্রকাশিত : ০৯:৫০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার

ভয়াবহ-ঝড়ের-তাণ্ডব-সাগরে-ভেসে-যাচ্ছে-আস্ত-বাড়ি

ভয়াবহ-ঝড়ের-তাণ্ডব-সাগরে-ভেসে-যাচ্ছে-আস্ত-বাড়ি

কানাডার আটলান্টিক উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিওনা’র আঘাতে বাড়িঘর ভেসে যাচ্ছে সাগরে। বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। জলোচ্ছ্বাসে বেশকিছু বাড়ি ও অফিস সমুদ্রের পানিতে ভেসে গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন একজন নারী সদস্যও।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ফিওনা ঝড় তীব্রতা হারিয়ে হারিকেন থেকে শুক্রবার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়। কানাডায় এ ধরনের ঝড় বিরল ঘটনা। সাধারণত এত উত্তরের শীতল সাগরের সংস্পর্শে এসে ঝড়ের বেগ কমে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, এরকম কিছু এর আগে দেখা যায়নি। ঝড়ের পর জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য নোভা স্কশিয়া প্রদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ফিওনার প্রভাবে কানাডার পাঁচটি প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টিও হয়েছে। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। কয়েক হাজার মানুষের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, যদি আরো কোনো জায়গায় কোনো ধরনের প্রয়োজন হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করবে। ফিওনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যে যাচ্ছেন না।

নোভা স্কশিয়া, প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড, নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং নিউ ব্রান্সউইকের পাশাপাশি কুইবেক প্রদেশের কিছু জায়গায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়।

বিভিন্ন প্রদেশের বিদ্যুত্ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে আরো কয়েক দিন লাগবে। কারণ বাতাসের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

শীতপ্রধান দেশ কানাডায় এ ধরনের হারিকেনের ঘটনা বেশ বিরল। সর্বশেষ ২০০৩ সালে নোভা স্কশিয়ায় হারিকেন ‘হুয়ান’ আঘাত হেনেছিল, যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে রূপান্তরিত হয়। ওই সময় দুজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়।