মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘৭০ ভাগ শিশুর ক্ষেত্রে রেটিনা ধীরে ধীরে পরিপূর্ণতা পায়’

প্রকাশিত : ০৯:১০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার

৭০-ভাগ-শিশুর-ক্ষেত্রে-রেটিনা-ধীরে-ধীরে-পরিপূর্ণতা-পায়

৭০-ভাগ-শিশুর-ক্ষেত্রে-রেটিনা-ধীরে-ধীরে-পরিপূর্ণতা-পায়

দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করে। এদের মধ্যে প্রায় চার লাখ অপরিণত। আর এ অপরিণত শিশুদের চোখের রেটিনা স্বাভাবিকভাবেই অপরিণত থাকে। ৭০ ভাগ ক্ষেত্রেই রেটিনা ধীরে ধীরে পরিপূর্ণতা পায়। বাকি ৩০ ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। এ শিশুদের খুঁজে বের করতে নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা (স্ক্রিনিং) দরকার।

রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ব রেটিনা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ভিট্রিও-রেটিনা সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান সংগঠনটির মহাসচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী।

‘রেটিনা সম্বন্ধে জানুন, দৃষ্টি সুরক্ষিত রাখুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে বিশ্ব রেটিনা দিবস।

আয়োজিত সভায় মহাসচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী বলেন, অপরিণত শিশুদের খুঁজে বের করতে নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা (স্ক্রিনিং) দরকার। রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচিউরিটি বা অপরিণত শিশুর রেটিনার একটি রোগ। এটি আমাদের দেশে একটি নতুন সমস্যা। সঠিক সময়ে যদি এই রোগ ধরা যায়, তাহলে শিশুর দৃষ্টি রক্ষা করা সম্ভব। 

রেটিনার রোগ প্রতিরোধ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে বছরে একবার রেটিনা পরীক্ষা করাতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। একইসঙ্গে বছরে একবার রেটিনা পরীক্ষা করাতে হবে। বয়স ৬০ এর বেশি হলে বছরে একবার ম্যাকুলা বিষয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।

সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. জিয়াউল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা ও গবেষণা) অধ্যাপক মো. জাহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অফ অফথালমোলজির সভাপতি (ইলেক্ট) অধ্যাপক আভা হোসেন এবং বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ সাঈদ। 

সংগঠনের সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইউভিয়া সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক হাসান শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ক্যাটারেক্ট এন্ড রিফ্রাকটিভ সার্জনসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জাফর খালেদ এবং বাংলাদেশ একাডেমি অফ অফথালমোলজির অনারারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মো. শওকত কবীর।