পর্যটন এলাকার সব হোটেল নিবন্ধনের আওতায় আনার সুপারিশ
প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
পর্যটন-এলাকার-সব-হোটেল-নিবন্ধনের-আওতায়-আনার-সুপারিশ
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, কমিটির সদস্য তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও বেগম কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।
বৈঠকে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙন রোধে অস্থায়ী প্রকল্প হিসেবে জিওটিউব ব্যবহার করে স্পার স্থাপন করে গৃহীত অস্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষা এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য তিন হাজার ১৪০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পের ব্যাপারে পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) সব পর্যায়ের স্টেকহোল্ডার কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পর্যটন ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রকল্পটি পুনরায় পিইসিতে (প্রকল্প মূল্যায়ণ কমিটি) পাঠানোর ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়।
কমিটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সুন্দরবনের ভেতর ইকো ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটাতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডকে সুপারিশ করেন।
বৈঠকে সভাপতি পর্যটকদের সুবিধার জন্য মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও সোনারচরে জেটি স্থাপনের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানোর সুপারিশ করেন। এছাড়াও কুয়াকাটাসহ অন্যান্য পর্যটন এলাকাগুলোতে অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশও করা হয়।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সংসদ সচিবালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।