মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাইজেরিয়ায় মসজিদে হামলা চালিয়ে ১৫ জনকে হত্যা

প্রকাশিত : ০৪:৫০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার

নাইজেরিয়ায়-মসজিদে-হামলা-চালিয়ে-১৫-জনকে-হত্যা

নাইজেরিয়ায়-মসজিদে-হামলা-চালিয়ে-১৫-জনকে-হত্যা

নাইজেরিয়ার একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ১৫ মুসল্লিকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার জামফারা প্রদেশের একটি মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে বুকুয়ুম প্রশাসনিক এলাকার রুয়ান জেমা শহরের জুমুয়াত কেন্দ্রীয় মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মোটরবাইকে করে এসেছিল। তারা বন্দুক নিয়ে সোজা মসজিদে ঢুকে পড়ে এবং মুসল্লিদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানান, স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে এ হামলা হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয়ভাবে ডাকাত নামে পরিচিত ভারী অস্ত্রধারী এসব সন্ত্রাসী গত দুই বছরে উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়াজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এ সময় সেখানে তারা হাজার হাজার অপহরণের ঘটনা ঘটানোর পাশাপাশি শত শত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এতে করে আফ্রিকার এ দেশটির এসব এলাকায় ভ্রমণ করা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।

এর আগে, এ মাসের শুরুতে একটি মসজিদে নামাজ শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে অস্ত্রের মুখে কয়েকজন মুসল্লিকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জামফারার জুগু শহরের জুমুয়াত কেন্দ্রীয় মসজিদে আসরের নামাজ চলাকালে মুসল্লিদের তুলে নিয়ে যায় তারা।

জানা যায়, গত আগস্টে সন্ত্রাসীরা রুয়ান জেলার বাসিন্দাদের ক্ষতি করবে না, এমন আশ্বাসের বিনিময়ে তাদেরকে নগদ ২১ হাজার ডলার, পেট্রোল ও সিগারেট দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে শহরটির বাসিন্দারা।

সাধারণত মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে এসব সন্ত্রাসী আসে। হামলাস্থলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, লুটপাট করে এবং মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে।

গত জানুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ বুহারি এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে নাইজারের বিভিন্ন স্থানে সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘাত হচ্ছে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর।