ছয় থেকে ৩০ গুণ বেতন বাড়ছে ক্রিকেটারদের
প্রকাশিত : ০৪:৩০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
ছয়-থেকে-৩০-গুণ-বেতন-বাড়ছে-ক্রিকেটারদের
পাকিস্তানের জাতীয় দলে খেলা ও ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পাঁচটি ক্যাটাগরির আওতায় আনা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী বেতন বাড়তে চলেছে বাবর আজমদের।
পিসিবি জানিয়েছে, মোট ১৯২ জন ক্রিকেটারকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ক্যাটাগরি ‘এ+’-তে রয়েছেন ১৫ জন ক্রিকেটার। তারা মাসে ৩ লক্ষ পাকিস্তানি রূপি করে বেতন পাবেন। আগে তারা মাসে ৫০ হাজার পাকিস্তানি রূপি পেতেন। এসব ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ছে ৬ গুণ।
ক্যাটাগরি ‘এ’-তে রয়েছেন ৩৫ জন ক্রিকেটার। তারা মাসে ২ লক্ষ পাকিস্তানি রূপি করে পাবেন। আগে তারা মাসে ১৫ হাজার পাকিস্তানি রূপি পেতেন। ক্যাটাগরি ‘বি’-তে ৪৮ জন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন। তাদের বেতন মাসে ১০ হাজার পাকিস্তানি রূপি থেকে বাড়িয়ে মাসে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার পাকিস্তানি রূপি করা হয়েছে।
ক্যাটাগরি ‘সি’-তে রয়েছেন ৭০ জন ক্রিকেটার। তারা মাসে ১ লক্ষ ৭০ হাজার পাকিস্তানি রূপি করে পাবেন। এর আগে তারা মাসে ৮ হাজার পাকিস্তানি রূপি পেতেন। সব শেষে ক্যাটাগরি ‘ডি’-তে ২৪ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে। তাদের বেতন মাসে ৫ হাজার পাকিস্তানি রূপি থেকে বাড়িয়ে মাসে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পাকিস্তানি রূপি করা হয়েছে। যা ঠিক ৩০ গুণ।
ক্যাটাগরি ভাগ করে দিলেও কোন ক্যাটাগরিতে কে কে রয়েছেন তা এখনো জানায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। শিগগিরই তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি-ও বাড়ানো হয়েছে। কায়েদ-এ-আজম ট্রফিতে খেলা ক্রিকেটাররা ম্যাচ প্রতি ১ লক্ষ পাকিস্তানি রূপি করে পাবেন। যারা দলে রয়েছেন কিন্তু খেলার সুযোগ পাননি তারা পাবেন ম্যাচ প্রতি ২৪ হাজার পাকিস্তানি রূপি।
এছাড়া পাকিস্তান কাপ ও জাতীয় টি-২০ লিগে যেসব ক্রিকেটার প্রথম একাদশে খেলবেন তারা ম্যাচ প্রতি ৬০ হাজার পাকিস্তানি রূপি করে পাবেন। রিজার্ভে থাকা ক্রিকেটারদের ম্যাচ প্রতি ২০ হাজার পাকিস্তানি রূপি করে দেওয়া হবে।
পাকিস্তান ক্রিকেটের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের প্রধান নাদিম খান বলেছেন, ‘যে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট যত উন্নত সেই দেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তত শক্তিশালী। তাই পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটকে আরো উন্নত করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য পিসিবির বোর্ড অফ গভর্নরসকে ধন্যবাদ। আশা করছি পাকিস্তান ক্রিকেট আগামী দিনে আরো উন্নত হবে।’