১৭ বছর পর পিচ টেম্পারিংয়ের দায় স্বীকার আফ্রিদির
প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
১৭-বছর-পর-পিচ-টেম্পারিংয়ের-দায়-স্বীকার-আফ্রিদির
আফ্রিদি জানান, ফয়সালাবাদ টেস্টে পিচ টেম্পারিং করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, ভুল করেছিলান। সতীর্থ মালিক পিচ টেম্পারিং করতে সাহস দিয়েছিলো।
তিন ম্যাচ সিরিজে ২০০৫ সালের ২০ নভেম্বর ফয়সালাবাদে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পিচ টেম্পারিং করেন আফ্রিদি। এই নিকৃষ্ট কাজের জড়িত ছিলেন মালিকও। আফ্রিদির দাবী এ অন্যায় কাজে তাকে উস্কে দেন মালিক।
সামা টিভির এক অনুষ্ঠানে ঐ পিচ টেম্পারিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ফয়সালাবাদের ঐ ম্যাচে বল টার্ন করছিল না, এমনকি সুইংও করছিল না। খুব অসহ্য লাগছিল। আমরা পুরো শক্তি নিয়ে খেলেও, প্রতিপক্ষের উইকেট ফেলতে পারছিলাম না। হঠাৎ করেই মাঠের বাইরে একটা সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। তখন সবার মনোযোগ ছিলো ঐ বিস্ফোরণে। আমি তখন মালিককে বললাম, আমার ইচ্ছা করছে, পিচে পাড়া দিয়ে গর্ত করে দিই। আমি চাই বল টার্ন করুক।
তার প্রস্তাবে মালিক সায় দেন জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, শোয়েব বলেছিল, গর্ত করে দাও। কেউ দেখছে না। তারপর আমি পিচ টেম্পারিং করি। এরপর হলো ইতিহাস।
১৭ বছর পর এসে সেই ভুল বুঝতে পেরে নিজের কৃত-কর্মের এখন অনুতপ্ত আফ্রিদ, ‘এখন যখন পেছন ফিরে তাকাই, বুঝতে পারি, ভুল করেছি সেদিন’।
পিচ টেম্পারিংয়ের শাস্তি হিসেবে ঐ সময় আইসিসি একটি টেস্ট ও দু’টি ওয়ানডেতে আফ্রিদিকে নিষিদ্ধ করেছিল।
ফয়সালাবাদের ঐ টেস্টটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক ইনজামাম উল হকের ১০৯ রানের সুবাদে ৪৬২ করেছিলো পাকিস্তান। পরে ৪৪৬ রান করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৬৮ রান তুলে পাকিস্তান। এতে ২৮৫ রানের টার্গেট পায় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশরা ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করার পর পঞ্চম দিনের খেলা শেষ হয়।
ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৮৫ বলে ৯২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য হাতে ফিরেন আফ্রিদি। বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৪টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট শূন্য ছিলেন তিনি।