মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঋণের টাকা মেটাতে মেয়েকে পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী করেন মা!

প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার

ঋণের-টাকা-মেটাতে-মেয়েকে-পুরুষদের-শয্যাসঙ্গিনী-করেন-মা

ঋণের-টাকা-মেটাতে-মেয়েকে-পুরুষদের-শয্যাসঙ্গিনী-করেন-মা

ঘটনাটি মালয়েশিয়ার জোহর এলাকার। সেখানে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে তার মা ঋণের টাকা মেটাতে পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী করেন। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঋণ শোধ করতে নিজের ছোট মেয়েকে একাধিক পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী বানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে।

১৭ বছরের ঐ কিশোরীকে শেষমেশ তার এমন মায়ের খপ্পর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে রাখা হয়েছে শিশুদের রাখার বিশেষ জায়গায়। একাধিক ব্যক্তির থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন ঐ নারী। কিছু ঋণ মেয়ের নামেও নেন বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘চায়না প্রেস’ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা কিশোরী দাবি করেছেন, চলতি বছরের শুরুতে ৬০ বছর বয়সি ভাড়াটিয়ার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়েছে তাকে। ঐ বৃদ্ধকে গডফাদার বলে ডাকে কিশোরী। কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য টাকা দিতেন ‘গডফাদার’। সেই টাকা পরে তার মাকে দিত কিশোরী।

যতো দিন কিশোরীর সঙ্গে ঐ বৃদ্ধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন, ততো দিন একে অপরকে বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড বলে সম্বোধন করতেন। ঋণের টাকা মেটাতে ঐ বৃদ্ধ যাতে আর্থিক ভাবে সাহায্য চালিয়ে যান, সে কারণেই তার শয্যাসঙ্গিনী হতে কিশোরীকে বাধ্য করতেন তার মা। এমনই অভিযোগ করেছেন ঐ কিশোরী। ঐ ব্যক্তির থেকে নিয়মিত ভাবে ঋণ নিতেন কিশোরীর মা। একই রকম ভাবে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনে কিশোরীকে বাধ্য করা হতো বলে অভিযোগ। এই ভাবে দিনযাপনের পর বাড়ি ছেড়ে পালায় কিশোরী। চলতি বছরের মার্চ মাসে বাড়ির কাছে একটি শিশুদের আবাসে আশ্রয় নেয় সে।

এক সমাজকর্মী কিশোরীর ব্যাপারে জানতে পারেন। কিশোরী যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, সে নিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন ঐ সমাজকর্মী। শিশুদের আবাসে কিশোরীর যাওয়ার পর তার মায়ের সঙ্গে ঐ সমাজকর্মী একটি চুক্তি করেন। আগামী দিনে মেয়ের ব্যাপারে নাক গলাবেন না, এই মর্মে চুক্তি হয়।

কিন্তু সেই চুক্তি ভেঙে কিশোরীর মা পাল্টা দাবি করেন যে, শিশুদের ঐ আবাস কর্তৃপক্ষ তার মেয়েকে আটকে রেখেছেন। এর পরই একাধিক হুমকি ফোন পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শিশু আবাস কর্তৃপক্ষ। হেনস্থার জেরে বাধ্য হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর পুলিশের দ্বারস্থ হয় ঐ কিশোরী। সে স্পষ্ট জানিয়েছে, মায়ের কাছে আর ফিরতে চায় না। নতুন জীবন শুরু করতে চায়।

‘চায়না প্রেস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কিশোরীর মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। বর্তমানে শিশুদের আবাসে থেকেই আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে চায় ঐ কিশোরী।

সূত্র: আনন্দবাজার