শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাত ডিম পাড়লেই কালো-ধূসর রঙের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

সাত-ডিম-পাড়লেই-কালো-ধূসর-রঙের-রহস্য-উদঘাটন

সাত-ডিম-পাড়লেই-কালো-ধূসর-রঙের-রহস্য-উদঘাটন

ভোলার চরফ্যাশনে দেশি হাঁসের কালো-ধূসর ডিম পাড়া নিয়ে রীতিমতো চলছে তোলপাড়। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের দাস কান্দি গ্রামের আব্দুল মতিন ও তাসলিমা দম্পতির খামারের একটি দেশি পাতিহাঁস কালো রঙের ডিম পাড়ে। তবে শুক্র আর শনিবার ঐ হাঁসটি ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয়।

এদিকে, ঐ কালো ডিমের রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্র ও শনিবার সকালে একই উপজেলার পৌরশহরের ৪ নং ওয়ার্ডের জুলেখা বেগমের একটি হাঁস ধূসর রঙের ডিম পাড়তে শুরু করেছে। এই দুই ঘটনা এখন পুরো জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রীতিমতো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হাঁসের এই ডিম কাণ্ড। এমন ঘটনার সুরাহা করতে না পেরে চিন্তিত খোদ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারাও।

ধূসর রঙের ডিম পাড়া ঐ হাঁসের মালিক জুলেখা বেগম বলেন, শখের বসে ৩টি হাঁস পালছি। প্রতিটি হাঁস এক বছর বয়সী। এরমধ্যে একটি হাঁস মাঝে মধ্যে ডিম পাড়ে। ঐ হাঁস যে কয়টি ডিম পেড়েছে সবগুলোই সাদা রঙের। তবে শুক্রবার ও শনিবার সকালে খোপ (হাঁস পালার ঘর) খুলে দেখি দুইদিনে দুইটি ধূসর রঙের ডিম পেড়েছে ঐ হাঁস।

দেশি হাঁসের কালো ও ধূসর রঙের ডিম পাড়ার ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল দৈনিক প্রভাতীকে বলেন, কী কারণে চরফ্যাশনের দুইটি হাঁস এমন ডিম পেড়েছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনাটি আমরা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা বলেছে, দুইটি হাঁস যদি ৭টি করে কালো আর ধূসর রঙের ডিম পাড়ে, তাহলে এসব ডিমের পরীক্ষা করা হবে। তারপর এসব কালো ও ধূসর রঙের ডিমের মূল রহস্য উদঘাটন হবে।