শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপারেশনে রোগীর মৃত্যু, ক্লিনিক বন্ধ করে পালাল ডাক্তার-নার্স

প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

অপারেশনে-রোগীর-মৃত্যু-ক্লিনিক-বন্ধ-করে-পালাল-ডাক্তার-নার্স

অপারেশনে-রোগীর-মৃত্যু-ক্লিনিক-বন্ধ-করে-পালাল-ডাক্তার-নার্স

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রাইভেট হাসপাতালে নাকের পলিপাস অপারেশনের সময় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে উপজেলার দেশ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ঘটনার পর ঐ প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়েছে ডাক্তার ও নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

জানা গেছে, ভাঙ্গা বাজারের সিটি টাওয়ারের তিনতলায় অবস্থিত ঐ প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মামুন চোকদার। এর আগেও সেখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর মৃত্যৃর খবর পাওয়া যায়। সর্বশেষ শনিবার ভোরে সেখানে মৃত্যু হয়েছে রুহুল আমিন নামে এক রোগীর। রুহুল ভাঙ্গা উপজেলার ত্রিপাগদী এলাকার জনৈক আব্দুর রব মাতুব্বরের ছেলে।

রুহুল আমীনের বোন জামাই মো. নাঈম মোল্যা জানান, নাকে পলিপাস অপারেশন করাতে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে দেশ প্রাইভেট হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার অপারেশন হওয়ার কথা থাকলেও তাকে ওটিতে নেয়া হয় রাত ১১টার দিকে। ডা. মারুফ শাহরিয়ার তার অপারেশন করেন।

নাঈম জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওটি থেকে বের করা হয় রুহুল আমীনকে। এ সময় রুহুল জানান তার মাথায় প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে। এর সাড়ে চার ঘণ্টা পর ভোর ৫টার দিকে মারা যান তিনি।

এদিকে, রুহুলকে ক্লিনিক থেকে বের করে তাড়াতাড়ি ফরিদপুর নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে তার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে স্বজনরা নিশ্চিত করেন।

ঘটনার পর রুহুলের স্বজনেরা তার লাশ নিয়ে দেশ ক্লিনিকের সামনে ফুটপাতে বসে আহাজারি করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিক বন্ধ করে পালিয়ে যায় ডাক্তার ও নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহসিন উদ্দিন ফকির বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে আমি শুনেছি। তবে রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে কেউ আমাকে মৌখিক কিংবা লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে সিভিল সার্জন স্যারের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, নাকের পলিপাস অপারেশন করতে গিয়ে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর থেকে ক্লিনিকটি বন্ধ করে সবাই পালিয়ে গিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।