শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সীতাকুণ্ডে দলবেঁধে গৃহবধূর সর্বনাশ, গ্রেফতার আরো ১

প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

সীতাকুণ্ডে-দলবেঁধে-গৃহবধূর-সর্বনাশ-গ্রেফতার-আরো-১

সীতাকুণ্ডে-দলবেঁধে-গৃহবধূর-সর্বনাশ-গ্রেফতার-আরো-১

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মকবুল রহমান জুট মিল এলাকায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার। এর আগে, শুক্রবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ সোনাইছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের রুহুল আমিনের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, বাড়বকুণ্ডের হাশেম নগর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন ঐ গৃহবধূ। কয়েকদিন আগে একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান তার স্বামী। ফলে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরে চলে যান তিনি।

গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় দুষ্কৃতকারীরা বাসায় ঢুকে নিয়ে যাচ্ছে মালামাল- এমন সংবাদে দ্রুত বাসায় ফেরেন তিনি। ফিরে বাসার দরজা খোলা ও মালামাল এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান এবং দুষ্কৃতকারীরা তার দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যান বলে বুঝতে পারেন। সেই মালামাল ফিরিয়ে আনতে একইদিন রাত ১২টার দিকে ভাগনে ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় তাদের পথরোধ করেন একদল দুষ্কৃতকারী। তারা গৃহবধূসহ তিনজনকেই মারধর করেন। পরে মকবুল রহমান জুট মিল এলাকার রেললাইনের পাশের একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে ঐ গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন এবং তার ভাগনে ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে পুনরায় মারধর করেন।

গৃহবধূর সর্বনাশের ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন দুষ্কৃতকারীরা। পরে রাত ২টার দিকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় তিনজনের সঙ্গে থাকা তিনটি মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকা নিয়ে যান। গৃহবধূর ভাই বিষয়টি জেনে তাকে সেখান থেকে উদ্ধারের পর সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ঐ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো একজনের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, মামলার ১৩ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন ও জাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে র‍্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সোনাইছড়ি এলাকা থেকে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় গণধর্ষণ, ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরক, সরকারি কাজে বাধাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে একই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।