শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একের পর এক খুন, বাড়ছে আতঙ্ক

প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

রোহিঙ্গা-ক্যাম্পে-একের-পর-এক-খুন-বাড়ছে-আতঙ্ক

রোহিঙ্গা-ক্যাম্পে-একের-পর-এক-খুন-বাড়ছে-আতঙ্ক

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই বেড়েছে খুন। এ নিয়ে এখানকার বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরাই এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন তথ্য মতে, গত চার মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০ জনেরও বেশি খুন হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতাও রয়েছেন। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড বাড়ছে।

সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এরশাদ নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি একই ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন।

এর আগে, ২০ সেপ্টেম্বর রাতে বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পে পাহারায় নিয়োজিত থাকা ৩৫ বছর বয়সী মো. জাফরকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যাকাণ্ডের এখনো কারণ পাওয়া যায়নি। ১৮ সেপ্টেম্বর খুন হন ৩৫ বছরের মো. ইলিয়াস। তিনিও স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন। ৯ আগস্ট খুনের শিকার হয়েছেন আরো দুই রোহিঙ্গা নেতা।

৮ আগস্ট টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক স্বেচ্ছাসেবক খুন হন। ১ আগস্ট একই ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যান একজন।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপ-অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, ২০২১ সালে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা চালু হয় স্বেচ্ছায় পাহারা। ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লকে পাঁচজন করে পাহারা দেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ৮ এপিবিএন এর আওতাধীন ১১টি ক্যাম্পের ৬৪ ব্লকে ৭৭৩টি সাব-ব্লকে স্বেচ্ছায় এ পাহারা ব্যবস্থা চালু হয়। প্রতি রাতে ১১টি ক্যাম্প পাহারা দেন তিন হাজার ৮৬৫ রোহিঙ্গা।

তিনি আরো জানান, গত বছরের ২৩ অক্টোবর থেকে চালু হওয়া স্বেচ্ছায় পাহারা শুরু হওয়ার পর ক্যাম্পে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমেছে। তবে স্বেচ্ছায় পাহারা দেওয়ায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে। এর জেরেই রোহিঙ্গা নেতাদের টার্গেট করে হত্যা করছে সন্ত্রাসীরা।