বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত করার ওপর জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
বিশ্ব-শান্তি-নিশ্চিত-করার-ওপর-জাতিসংঘে-ভাষণ-দেবেন-প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) ইউএনজিএ-র ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বহুপাক্ষিকতার ওপর জোর দেবেন।
মোমেন বলেন, আমরা শান্তির প্রতি জোর দেব, আমরা বলব যেকোনো ধরনের সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হল সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা এ বিষয়টিও উল্লেখ করবেন যে, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারিকে খুব ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে এবং মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
তিনি বলেন, মহামারি সত্ত্বেও, বাংলাদেশ যথেষ্ট অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে এবং তা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া আমরা বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ এবং প্রণোদনা দিয়েছি। সে গুলোও সেখানে তুলে ধরব।
মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে জলবায়ু সমস্যাও তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলি, আমাদের বিশ্বকে বাঁচাতে হবে এবং এই বিশ্বকে বাঁচাতে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হল বৈশ্বিক তাপমাত্রা অবশ্যই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়া উচিত নয়। আমরা প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না, এতে বিশ্বকে বাঁচাতে প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আশা করে যারা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী তারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব ভাগ করে নেবে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সেটাই তুলে ধরবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছে। আমরা মানুষকে একটি বাড়ি এবং একটি জীবন দিচ্ছি। আমরা বিশ্বকে দেখাব যে আমরা খুব ভাল কাজ করেছি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মূল ফোকাস হচ্ছে দেশটি শান্তি চায়। ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।