মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের ‘গোপন’ রহস্য জানালেন পুতিনের বন্ধু

প্রকাশিত : ০৪:৫০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

ইউক্রেনে-রুশ-অভিযানের-গোপন-রহস্য-জানালেন-পুতিনের-বন্ধু

ইউক্রেনে-রুশ-অভিযানের-গোপন-রহস্য-জানালেন-পুতিনের-বন্ধু

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে চালানো বিশেষ অভিযানের গোপন রহস্য জানিয়েছেন ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকুনি। তার দাবি, রুশ প্রেসিডেন্টকে ইউক্রেনে অভিযান চালাতে জোর করা হয়েছে। আগামী রোববার অনুষ্ঠিতব্য ইতালির নির্বাচনের আগে তার এ মন্তব্য পশ্চিমা মিত্রদের উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।

সিলভিও বারলুসকুনি বলেন, কিয়েভে নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে পুতিনকে বিশেষ অভিযান চালাতে বাধ্য করা হয়েছে। 

বারলুসকুনির ফোরজা ইতালিয়া পার্টি আগামী সোমবারের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সিলভিও বারলুসকুনি ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পক্ষে প্রথম সমর্থন জানাচ্ছেন না। তিনি আগেও রাশিয়ার পক্ষে কথা বলেছেন। তার যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্যগুলো নির্বাচনী জোটের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে থাকে।

পুতিনের ব্যক্তিগত বন্ধু হিসেবে সিলভিও বারলুসকুনি পরিচিতি রয়েছে। ইউক্রেনে পিছু হটার পর পারমাণবিক ব্যবহারের হুমকির পর পুতিনের সরগরম করার প্রবৃত্তির নিন্দা করেছেন বারলুসকুনি।

তিনি বলেন, রাশিয়ার জনগণ, তার দল ও মন্ত্রীদের উৎসাহে পুতিন ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেছেন। এখন রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এটিকে যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করছে। 

পশ্চিমা অন্যান্য দেশের মতোই  প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাবগীর শাসনাধীন ইতালি ইউক্রেনে অভিযানের কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাদের অবস্থান পশ্চিমাদের মতোই দৃঢ়। 

জর্জিয়া মেলনি ফার রাইট ব্রাদাস থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমান ইতালি সরকারের মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে অনড় অবস্থান নেবেন। তবে বারলুসকুনি ও তার অন্যান্য মিত্র ম্যাটো সালভিনি দ্বৈত্য অবস্থানে রয়েছে।

এক সপ্তাহের ভেতরে কিয়েভ দখল করে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সরিয়ে একজন ভদ্র মানুষ দিয়ে সরকার গঠনের পরিকল্পনা ছিল। পরে এক সপ্তাহ পর তাকেও সরানোর পরিকল্পনা ছিল মস্কোর। 

তিনি আরো বলেন, আমি বুঝতে পারছি না যে, যেহেতু কিয়েভ তাদের লক্ষ্য ছিল, তাহলে কেন রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের চারদিকে ছড়ালো?

সাত মাসে পুতিনের যুদ্ধেল অবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে। শুরুতে কিয়েভ এলাকা থেকে রুশ সেনাদের তাড়িয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার সীমান্ত ঘেঁষা উত্তরাঞ্চল থেকে সরে এসেছে রুশ সেনারা। 

পুতিনের বর্তমান ভাষ্য, রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলের নিরাপত্ত নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। 

আরএআই টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারলুসকুনি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মস্কো ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ করেছে। 

তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ক্রেমলিনে এসেছিলেন এবং পুতিনকে সরাসরি কলেন, দয়া করে আমাদের রক্ষা করুন। যদি আপনি রক্ষা না করেন তবে আমরা কোথায় শেষ করব তা জানি না।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার পর সেখানে পরিদর্শনে যান বারলুসকুনি ও পুতিন। ক্রিমিয়ার জনগণ তখন পুতিনকে ধন্যবাদ জানান।

সূত্র- রয়টার্স।