মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউক্রেনের চার অঞ্চলে গণভোট শুরু করলো রাশিয়া

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

ইউক্রেনের-চার-অঞ্চলে-গণভোট-শুরু-করলো-রাশিয়া

ইউক্রেনের-চার-অঞ্চলে-গণভোট-শুরু-করলো-রাশিয়া

ইউক্রেনের দখলকৃত চারটি এলাকার মানুষ রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় কিনা সে বিষয়ের ওপর গণভোট শুরু হয়েছে। তবে কিয়েভের দাবি, গণভোটে অংশ নিতে স্থানীয়দের বাধ্য করা হচ্ছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বিশাল এলাকা দখল করে ইউক্রেন। এর মধ্যেই কিয়েভ সরকারের চার অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে কিনা তার ওপর গণভোটের আয়োজন করেছে রাশিয়া সমর্থিত স্বাধীনতাকামীরা। কিয়েভ এ স্বাধীনতাকামীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সাত মাসের বিশেষ অভিযানে ইউক্রনে-রুশ সেনাদের সংঘর্ষের সময় ১০ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হন। এ সময়ে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া দুটি দেশের মধ্যে চলমান যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতিও বিধ্বস্ত হয়েছে।

এ সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে তিন লাখ রিজার্ভ সৈন্য সমাবেশের নির্দেশের পর ক্রেমলিন ইউক্রেন যুদ্ধে পরাস্ত এলাকা পুনর্দখলের চেষ্টায় থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কিয়েভ ও পশ্চিমা সমর্থকরা বলছেন, গণভোটের পর রাশিয়ার সঙ্গে চারটি অঞ্চল যুক্ত হলে পরবর্তীতে রুশ সেনারা নিজেদের ওপর হামলা অজুহাতে আরো এলাকা দখল করতে পারে। 

বুধবার পুতিন বলেন, আমাদের নিজেদের রক্ষায় প্রয়োজনে সবকিছু ব্যবহার করব। দরকার হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। আর এ হুঁশিয়ার কোনো ধাপ্পাবাজি নয়।

চার অঞ্চলে গণভোটের জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচনা করে আসছিল মস্কো সমর্থিত কর্তৃপক্ষ। তবে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক সামরিক বিজয় সেটি দ্রুত করতে ত্বরান্বিত করেছে।

শুক্রবার থেকে ইউক্রেনের ১৫ শতাংশ এলাকায় গণভোট শুরু হয়েছে। লুহানস্ক, ডোনেস্ক, খেরসান ও জাপরিঝজিয়া অঞ্চলে এ ভোট হচ্ছে। এ ভোট চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। 

রাশিয়ার ফেডারেশনের সংবিধান অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে জাপোঝজিয়া অঞ্চলে গণভোট শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ অঞ্চলের রাশিয়া সমর্থিত প্রশাসনের কর্মকর্তা ভ্লাদিমেরি রজব বলেন, আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। 

চার অঞ্চলকে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। তাদের দাবি, এ নির্বাচনে স্বাধীন কোনো পর্যবেক্ষণ থাকবে না এবং যুদ্ধের আগে সেখানকার জনগণ পালিয়েও গেছেন।

সূত্র- রয়টার্স।