অধিনায়কদের মাঝে আয়ে শীর্ষে রোহিত, সাকিবের কত?
প্রকাশিত : ০৩:৩০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
অধিনায়কদের-মাঝে-আয়ে-শীর্ষে-রোহিত-সাকিবের-কত
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে বেশিদিন বাকি নেই। এর আগে দেখে নিন অংশগ্রহণকারী শীর্ষ ৮ দলের অধিনায়কদের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ।
রোহিত শর্মা (ভারত)
ভারতের টি-২০ অধিনায়ক রোহিত শর্মা এখনো সেরা সাফল্য না পেলেও আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নিজের সেরাটা দেখিয়েছেন। দলের নেতা ছাড়াও তিনি ওপেনিংয়ে মূল ভরসা। ভারতের সাফল্যে অনেক অবদান রেখেছেন দ্য হিটম্যান।
বিসিসিআই থেকে এ প্লাস গ্রেডে বেতন পাওয়া রোহিত শর্মার বার্ষিক আয় ৭ কোটি ভারতীয় রুপি। এ ছাড়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে চুক্তি থেকে রোহিতের আয় আসর প্রতি ১৬ কোটি ভারতীয় রুপি। এ ছাড়া বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ড (নাইকি, ম্যাগি, নিশান) থেকেও আয় আছে ভারতের অধিনায়কের। সব মিলিয়ে বছরে তার আয়ের পরিমাণ ২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
দীর্ঘদিন পর ফের বাংলাদেশের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাকিব আল হাসানের কাঁধে। তার অধীনে এশিয়া কাপে ভালো না করলেও টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো ফলের আশা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অনেকের মনেই প্রশ্ন, ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের বার্ষিক আয় কত?
জাতীয় দল থেকে বার্ষিক আয় বাদেও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত আছেন সাকিব। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে লেনোভো, অপো, সেভেন আপ। এসব ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, জাতীয় দল এবং বিভিন্ন লিগ থেকে সাকিব বছরে আনুমানিক ২২ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করেন।
জস বাটলার (ইংল্যান্ড)
সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যানদের একজন জস বাটলার। মরগানের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব পেয়ে দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
৩২ বছর বয়সী এই ইংলিশ অধিনায়ক এনডোর্সমেন্ট এবং ম্যাচ ফি থেকে বছরে ১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করেন। বাটলার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন। সেখান থেকে তার আয় দাঁড়ায় ১০ কোটি রুপি।
অ্যারন ফিঞ্চ (অস্ট্রেলিয়া)
কিছুদিন আগেই ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে টি-২০ এখনও চালিয়ে যাবেন তিনি।
৩৫ বছর বয়সী এই ওপেনারের হাত ধরেই ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। জাতীয় দলের বেতন এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে বছরে ফিঞ্চের আয় দাঁড়ায় ৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)
কেন উইলিয়ামসন এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে ব্ল্যাকক্যাপসরা ২০২১ সালে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল। এ ছাড়া গত দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলেছে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক বছরে নানান অ্যাম্বাসেডর এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বছরে ৬.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে গত মৌসুমের আইপিএল থেকে উইলিয়ামসনের আয় ছিল ১৪ কোটি ভারতীয় রুপি।
টেম্বা বাভুমা (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ঘরোয়া চুক্তি থেকে তার আয়ের সিংহভাগ উপার্জন করেন। এ ছাড়া তিনি স্পোর্টস ফুট ওয়্যার ব্র্যান্ড নিউ ব্যালেন্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। নিউজপ্রেস অনুসারে, বাভুমার বার্ষিক আয় ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
বাবর আজম (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের রান মেশিনখ্যাত ওপেনার এবং দলের অধিনায়ক বাবর আজমের আয়ও চোখধাঁধানো। বছরে বাবর আয় করেন ৪ মিলিয়ন ডলার। জাতীয় দলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি ছাড়াও বাবর পিএসএলে খেলেন করাচি কিংসের হয়ে।
শুধু করাচি কিংসের হয়েই আসরজুড়ে বাবর আয় করেন ১.২৪ কোটি ভারতীয় রূপি। এছাড়া পাকিস্তানের নানান ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হয়েও বিপুল অর্থ আয় করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
মোহাম্মদ নবী (আফগানিস্তান)
২০২১ সালে আফগানদের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয় নবীর হাতে। তারপর থেকে দারুণভাবে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। সারা বছর বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ খেলেন তিনি।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি ছাড়াও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার প্রচুর অর্থ আয় করে থাকেন। প্রাইমস ওয়ার্ল্ডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নবীর মোট বার্ষিক আয় ১.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার।