মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিরিয়া উপকূলে অভিবাসী-শরণার্থীবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৮:৫০ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

সিরিয়া-উপকূলে-অভিবাসী-শরণার্থীবাহী-নৌকা-ডুবে-৩৪-জনের-মৃত্যু

সিরিয়া-উপকূলে-অভিবাসী-শরণার্থীবাহী-নৌকা-ডুবে-৩৪-জনের-মৃত্যু

সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরো অনেককে।

অভিবাসী ও শরণার্থীদের বহনকারী এই নৌকাটি লেবানন থেকে যাত্রা করেছিল। পথিমধ্যে সিরিয়ার উপকূলে এটি ডুবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নৌকাডুবির ঘটনার পর মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা লোকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার হওয়া আরও ২০ জনকে তার্তুসের বাসেল হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

সিরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে বলেছে, গত মঙ্গলবার লেবাননের উত্তর মিনিয়েহ অঞ্চল থেকে নৌকাটি যাত্রা শুরু করে এবং এটিতে ১২০ থেকে ১৫০ জনের মধ্যে আরোহী ছিল।

বন্দর মহাপরিচালক সামের কুব্রুসলি বলেছেন, উত্তাল সমুদ্র এবং প্রবল বাতাসের কারণে সৃষ্ট কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই অনুসন্ধান অভিযান চলছে।

কিছু লেবানিজ, সিরিয়ান এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংকট-বিধ্বস্ত লেবানন থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ক্রমেই বাড়ছে এবং অবৈধ এই যাত্রা পথে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা।

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শুধু লেবাননেই হাজার হাজার লোক তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং লেবানিজ পাউন্ডের মূল্য ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার তাদের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে এবং এখন তারা কার্যত চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।

তার্তুসের গভর্নর আব্দুল হালিম খলিল হাসপাতালে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দেখতে গেছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য ডুবে যাওয়া নৌকায় ঠিক কতজন লোক ছিল এবং তারা ঠিক কোথায় যাচ্ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি। তবে কোস্টগার্ড এখনও মৃতদেহের সন্ধান করছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে বিভিন্ন দেশের মানুষ ছিল।

আলজাজিরা বলছে, হাজার হাজার লেবানিজ, সিরিয়ান এবং ফিলিস্তিনি গত কয়েক মাস ধরে ইউরোপে আরও ভালো জীবনের আশায় নৌকায় করে লেবানন ছেড়েছে। লেবাননের জনসংখ্যা ৬০ লাখ, যার মধ্যে ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থী রয়েছে।

২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে দেশটি গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে যা জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে টেনে নিয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে লেবাননের নৌবাহিনীর সাথে সংঘর্ষের পর, সমুদ্রপথে ইতালিতে অভিবাসনের চেষ্টারত কয়েক ডজন লেবানিজ, সিরিয়ান এবং ফিলিস্তিনিদের বহনকারী একটি নৌকা ত্রিপোলি বন্দর থেকে ৫ কিলোমিটারেরও (৩ মাইল) বেশি দূরে ডুবে যায়। এ ঘটনায় সেসময় বহু মানুষ প্রাণ হারায়।

আলজাজিরা বলছে, দেশ ছেড়ে যাওয়া অভিবাসীরা উত্তর লেবাননের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের ছোট এই দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চল।