অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত : ১২:১০ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল-রেজিস্ট্যান্স-প্রতিরোধের-ওপর-গুরুত্বারোপ-প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেছেন, এএমআর এমন একটি সমস্যা, যা সংকটে রূপ নিতে পারে। এর কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ প্রাণহানি হতে পারে। এটি প্রতিরোধে আমাদের টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সুতরাং, এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের লেক্সিংটন হোটেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ে আয়োজিত এক বৈঠকের শুরুতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের এই গ্রুপ থেকে বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্য কাজ চলছে। কিন্তু এটি স্পষ্ট যে, এ ব্যাপারে আরো কিছু করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের একটি ‘অভিন্ন স্বাস্থ্য পদ্ধতি’তে স্থিত হওয়া প্রয়োজন।
এরই মধ্যে প্রায় ১৫০টি দেশের এএমআর বিষয়ে তাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য অর্থপূর্ণ সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় এএমআর গুরুত্ব পাওয়া উচিত। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাল্টি-পার্টনার ট্রাস্ট ফান্ড পছন্দের হাতিয়ার হতে পারে।
এএমআর-এর জন্য বিশ্ব ও জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পরিস্থিতি তৈরি করা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এএমআর এর দায়িত্ব ও প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে গ্লাস প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারের জড়িত হওয়া অত্যাবশ্যকীয় এবং একটি রোগীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতির সঙ্গে যোগসূত্রের মাধ্যমে শুরুতেই রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নতুন এএমআর-এর ভ্যাকসিন ও অন্যান্য চিকিৎসার জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের অভাবকে উদ্বেগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এজন্য বেসরকারি খাতের যথাযথ প্রণোদনা প্রয়োজন।
কিছু জটিল প্যাথোজেনের জন্য এএমআরের বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংগৃহীত প্রমাণ এবং তথ্য-উপাত্ত বেশ চোখ খুলে দেওয়ার মতো।
সরকারপ্রধান বলেন, এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। এজন্য নভেম্বরে বার্ষিক বিশ্ব সচেতনতা সপ্তাহ একটি উপযুক্ত উপলক্ষ।