সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রে এখনো অবাঞ্ছিত তারেক রহমান

প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাষ্ট্রে-এখনো-অবাঞ্ছিত-তারেক-রহমান

যুক্তরাষ্ট্রে-এখনো-অবাঞ্ছিত-তারেক-রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে দেশটির স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর তারেক জিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। 

বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকস এ তথ্য প্রকাশ করেছিল। এতে রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির জন্য তারেক রহমানকে দায়ী করা হয়। 

সে সময় মার্কিন দূতাবাস জানায়, তারেকের দুর্নীতির কারণে মার্কিন ঘোষণাপত্রে বর্ণিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্য বিনষ্ট হওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে।

মূলত কয়েকটি কারণে তারেক জিয়া যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত। এগুলোর মধ্যে মোটা দাগে রয়েছে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা।

মার্কিন দূতাবাস বলেছে, তারেকের দুর্নীতি শুধু স্থানীয় কোম্পানির কাছে চাঁদাবাজির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অনেক ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে সিমেন্স, হার্বিন কোম্পানি, মোনেম কনস্ট্রাকশনসহ আরো অনেকেই।

চাঁদাবাজিতে শুধু দেশে নয় বিদেশেও ব্যাপক কুখ্যাতি রয়েছে তারেক জিয়ার। মার্কিন দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, একটি মামলায় আল আমিন কনস্ট্রাকশনের মালিক আমিন আহমেদকে হুমকি দিয়েছেন তারেক রহমান। দেড় লাখ ডলার না দিলে তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা একাধিক দেশ তারেক জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের অনেকগুলো সূত্র পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তদন্ত অনুযায়ী, তারেক জিয়া বাংলাদেশি এবং আন্তর্জাতিক অন্তত ৩টি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে হরকাতুল জিহাদ, হিযবুত তাহরীর এবং জেএমবির মতো ৩টি সংগঠনের সঙ্গে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বলে বিভিন্ন মার্কিন সূত্র দাবি করছে।