বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিজেদের টাকায় মেয়েদের ক্যাম্প চালিয়েছেন সালাউদ্দিন-কিরণ

প্রকাশিত : ০১:৩০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

নিজেদের-টাকায়-মেয়েদের-ক্যাম্প-চালিয়েছেন-সালাউদ্দিন-কিরণ

নিজেদের-টাকায়-মেয়েদের-ক্যাম্প-চালিয়েছেন-সালাউদ্দিন-কিরণ

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পর থেকেই মেয়েদের নিয়ে শুরু হয়েছে বন্দনা। যদিও দেশে নারী ফুটবলের পথচলা বেশ বন্ধুর। কঠিন পথ পেরিয়ে নারী ফুটবলাররা এখন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। যেখানে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।

কিরণ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নারীদের নিয়ে কাজটা বিশেষভাবে শুরু হয়েছিল ২০১২ সাল থেকে। বুধবার সাফজয়ী দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কাজী সালাউদ্দিন ২০০৮ সালে নারী ফুটবলের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই মূলত নারী ফুটবল নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তবে পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে। সানজিদারা ২০১২ সালের প্রকল্পেরই ফসল।’

২০১২-১৫ সাল পর্যন্ত সেই খেলোয়াড়দের নিজেদের অর্থায়নে পরিচালনা করেছেন বলে জানান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তার ভাষায়, ‘শুরুর দিকে নারী ফুটবলে কোনো স্পন্সর ছিল না। আমি ও সভাপতি টাকা দিয়ে ক্যাম্প চালিয়েছি। মেয়েদের খাবার, গিয়ার্সের জন্য অনেক অর্থ লাগত। সেগুলো আমরা নিজেরা কয়েক বছর দিয়েছি।’ 

কিরণের সঙ্গে একমত পোষণ করে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘২০১২ সালে প্ল্যানের একটি আবাসিক ক্যাম্প হয়। সেই আবাসিক ক্যাম্প থেকে আমরা মেধাবী কয়েকজন খেলোয়াড় পাই। সেই খেলোয়াড়দের আমরা ধরে রেখেছি।’ 

২০১৬ সালে এএফসি অ-১৬ বাছাইয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই মূলত বাফুফে এক নাগাড়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প পরিচালনা করে। সেই সময় ঢাকা ব্যাংক সহ আরো কয়েকটি আর্থিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান সহায়তা করেছে।

২০১৬ সালের পর থেকে নারী ফুটবলে বিশেষভাবে কাজ করছেন ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। পল স্মলি নারী দলকে কঠিন পরিশ্রমের কথা বলতেন। সেই পরিশ্রমের ফসল আজ পেয়েছে বাংলাদেশ বলে মনে করেন ছোটন, ‘পল স্যার হার্ড ওয়ার্ক এন্ড হার্ড ওয়ার্কের কথা বলতেন। সেই হার্ড ওয়ার্ক করায় আজ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব হয়েছে।’