পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদল হচ্ছে: বীর বাহাদুর উশৈসিং
প্রকাশিত : ০৯:১০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
পার্বত্যাঞ্চলের-মানুষের-ভাগ্য-বদল-হচ্ছে-বীর-বাহাদুর-উশৈসিং
তিনি বলেন, পাহাড়ের প্রত্যেক উপজেলায় বিদ্যুৎ গেছে। হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস হয়েছে। এসেছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের ফলে এ উন্নয়ন ঘটেছে।
বুধবার বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রী বাজারে অস্থায়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে একথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক ডা. অং চালু, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, সিংইয়ং খুমি, সিংইয়ং বম, তিংতিং ম্যা, থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং, বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আজিজ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের জন্য তিন পার্বত্য জেলায় ৫৬৫ কোটি টাকার যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেটি পর্যাপ্ত নয়। তাই প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে, এটা প্রক্রিযাধীন আছে। আর এটা হলে আর বিদ্যুতের সমস্যা হবে না। প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার পরিবারকে সোলার দেওয়া হবে।
পরে মন্ত্রী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে বাস্তবায়নাধীন বড় মদক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বাস্তবায়নাধীন রেমাক্রী বাজার অভ্যন্তরীণ রাস্তা এবং রেমাক্রী বাজার শেড উদ্বোধন করেন তিনি।
পরে মন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প -২য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের ১৩২৭ পরিবার উপকারভোগীর মাঝে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, শুধু পার্বত্যাঞ্চল নয়, সারাদেশের ন্যায় আগামী দিনগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন সেটা বাস্তবায়ন হবে। এ অঞ্চল শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে।
পরে মন্ত্রী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে বিশেষ প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় রেমাক্রী ইউনিয়নের প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।
সব শেষে থানচি উপজেলা কমপ্লেক্সের আয়োজনে ইউএইচসি অপারেশন প্ল্যানের ট্রাইবাল হেলথ কমর্সূচির আওতায় মোবাইল মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৬ জন চিকিৎসক শতাধিক মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ওষুধ ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প-২য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরামর্শক হাসান শাহারিয়ার জানান, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে রেমাক্রীর ১৩২৭ পরিবার এ সোলার পাবে। ১০০ ওয়াট সম্পন্ন এ সোলার দেওয়া হচ্ছে। একটি সোলারের দাম প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। প্যানেল, ব্যাটারি, ৪টি এলইডি বাল্ব, একটি চার্জ কন্ট্রোলারসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হবে উপকারভোগীদের। সোলার সিস্টেম ব্যবহার করে একজন উপকারভোগী ৪টি এলইডি বাল্ব, ডিসি স্ট্যান্ড ফ্যান, মোবাইল চার্জ দিতে পারবেন। ২য় পর্যায়ে ৭৯টি পাড়ার ১৩২৭ পরিবার এ সোলার পাচ্ছে।