দেশীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
দেশীয়-মাছের-উৎপাদন-বেড়েছে-৪-গুণ-প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩৭ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের প্রজনন কৌশল ও চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে গত এক বছরে ১১ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে লাইভ জিন ব্যাংক। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম অতীতের তুলনায় জোরদার করা হয়েছে। গত ১২ বছরে চাষের মাধ্যমে দেশীয় মাছের উৎপাদন ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ হাজার মেট্রিক টন থেকে ২ দশমিক ৬ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রম গ্রহণের কারণে দেশে ইলিশের বিস্তৃতি ও উৎপাদন বেড়েছে। গত ১২ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৮৫ শতাংশ । পাশাপাশি বড় আকারের ইলিশের প্রাপ্যতা আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণ ও সহনশীল আহরণ নিয়েও গবেষণা চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। দেশের স্বার্থে এ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সম্পৃক্তদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এ দেশ অনেক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ খাত মৎস্য খাত। এ খাতের সমৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিরাম প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা রয়েছে। এ খাতে সরকারের বিভিন্ন রকম অনুদান ও বরাদ্দ রয়েছে।
বিএফআরআই এর বোর্ড অব গভর্নরস এর সদস্য ও সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বোর্ড সদস্য ও পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ কে এম ফজলুল হক, বোর্ড সদস্য সচিব ও বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বোর্ড সদস্য ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মিয়া সাঈদ হাসান, বিএফআরআই এর পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) ড. মো. খলিলুর রহমান এবং পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. আনিছুর রহমান সভায় অংশগ্রহণ করেন।