বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাতে উধাও হয় গ্রাম, ঘুরে বেড়ায় বিড়াল চোখের নারী জিন!

প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

রাতে-উধাও-হয়-গ্রাম-ঘুরে-বেড়ায়-বিড়াল-চোখের-নারী-জিন

রাতে-উধাও-হয়-গ্রাম-ঘুরে-বেড়ায়-বিড়াল-চোখের-নারী-জিন

অফুরন্ত তেলের খনি, প্রাচুর্য ও বৈভবের এক স্বপ্নলোক হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ আমিরাতেই রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল শহর দুবাই। অথচ এ দেশেই জনশূন্য একটি গ্রাম রয়েছে। গ্রামটিকে ঘিরে রয়েছে নানা গল্প কাহিনী।

দুবাই শহর থেকে মাত্র ৭৪ কিলোমিটার দূরে শারজার সীমানায় অবস্থিত রহস্যময় গ্রাম ‘আল মাদাম’। এ গ্রামের সবগুলো বাড়ির দরজা-জানালা থাকে খোলা। ঘরের ভেতরের আসবাবপত্রও বেশ পুরনো ও এলোমেলো। এ পরিস্থিতি দেখে যে কেউ মনে করতে পারে- আচমকাবিপদে সব ফেলে পালিয়েছেন  বাসিন্দারা। আবার এও মনে হতে পারে, যেন অতিপ্রাকৃত কোনো শক্তিতে ধ্বংস হয়েছে গ্রামটি।

স্থানীয়দের মতে, ১৯৭০ সালে গ্রামটিতে 'আল কুতবি' উপজাতি সম্প্রদায় বাস করতো। তবে প্রতিকূল পরিবেশ, পানিশূন্যতা আর মরুঝড়ের কারণে এ উপজাতি গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়। এছাড়াও শোনা যায়, এ গ্রামে এমন এক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল যার কারণে এর ধারেকাছে ঘেঁষতেও কেউ সাহস পেতো না। গ্রামটিতে এখনো অবশিষ্ট আছে বেশ কিছু বাড়ি ও মসজিদ।

এদিকে, আল মাদামের পাশের গ্রামগুলোতে বসবাসরত মানুষজন বিশ্বাস করেন, এখানে ‘উম দুয়াইস’ নামের এক নারী জিন ঘুরে বেড়ায়। বিড়ালের মতো চোখের এ নারী জিনের হাতে থাকে ধারালো অস্ত্র।

স্থানীয়দের মতে, গ্রামটি রাতে উধাও হয়ে যায়, আবার সূর্যের আলো ফুটতেই এর দেখা মেলে। কিন্তু কেন এ ঘটনা ঘটে তার কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ বের করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মত ছিল, রাতের বেলায় মরুর বালিতে ঢাকা পড়ে যায় পুরো গ্রাম। কেননা সেখানে ক্রমাগত হাওয়া চলতেই থাকে। তবে বিজ্ঞানীদের একাংশের প্রশ্ন, গ্রামটি রাতে বালিতে চাপা পড়ে গেলে, দিনে আবার দ্রুত বালি সরে কীভাবে?

তারা আরো একটি সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন, যার নাম 'দৃষ্টিভ্রম'। কারণ দুবাইয়ে মরুভূমি আর সমুদ্র দুটোই কাছাকাছি অবস্থিত। ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বাতাস দ্রুত গরম হয়, আর উপরের দিকের বাতাস সমুদ্রের কারণে ঠাণ্ডা থাকে। যার ফলে নিচের দিকে যখন আলোর প্রতিসরণ হয়, তখনই মনে হয় গ্রামটি অদৃশ্য হয়ে গেছে।

আল মাদামের রহস্যের কূলকিনারা কেউ খুঁজে পাক বা না পাক এ রহস্যময়তাই যে গ্রামটিকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করেছে সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যে রহস্য এরইমধ্যে মন কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখো পর্যটকের। প্রতিদিনই গ্রামটি দেখতে নানা দেশের নানা ধর্মের মানুষ ছুটে আসছেন।