খেলা দেখতে পারেননি কৃষ্ণার মা, তবে গ্রামে চলছে জয়োল্লাস
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
খেলা-দেখতে-পারেননি-কৃষ্ণার-মা-তবে-গ্রামে-চলছে-জয়োল্লাস
সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের বাসুদেব চন্দ্র দাস ও নমিতা রানী দাস দম্পত্তির মেয়ে।
নানা প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অবিচল লক্ষ্য, অদম্য মনোবল, প্রবল ইচ্ছা ও দৃঢ়সংকল্পকে সঙ্গী করে কৃষ্ণা রানী পারি দিয়েছে স্বপ্নপূরণের পথ।
তবে বাড়িতে (লোডশেডিং) বিদ্যুৎ না থাকায় তার মা নমিতা রানী সরকার মেয়ের খেলা দেখতে পারেননি। বাবা খেলা দেখেছেন অন্য গ্রামে গিয়ে। বোনের ভালো খেলার জন্য ভাই পলাশ সারা দিন উপবাস ছিলেন।
কৃষ্ণার মা নমিতা রানী সরকার জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারিনি। খেলা শেষে ছেলের মোবাইল ফোনে জয়ের কথা জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমার মেয়ের ফুটবল খেলা নিয়ে যারা একসময় কটাক্ষ করত, তারাই এখন অভিনন্দন জানাচ্ছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
কৃষ্ণার গ্রামে চলছে জয়োল্লাস। ছোট-বড় সবার মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। নিভৃত পল্লী গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে খেলার খবর। সবাই গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছেন, তিন গোলের মধ্যে ২ গোলই করেছে আমাদের কৃষ্ণা।
কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার জানান, বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় পাশের গ্রামে গিয়ে খেলা দেখে দারুণ খুশি হয়েছি। এলাকার মানুষ খেলা উপভোগ করেছে। অনেকেই আনন্দে শুভেচ্ছা জানাতে আসছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক জানান, কৃষ্ণা এখন বাংলাদেশের গর্ব। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তার উত্থান শুরু। দেশে ফেরার পর আমরা তাকে সংবর্ধনা দেব। কৃষ্ণার মাকে রত্মগর্ভা সম্মাননা দিয়েছি।