বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

আর-কোনো-রোহিঙ্গাকে-অনুপ্রবেশ-করতে-দেব-না-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আর-কোনো-রোহিঙ্গাকে-অনুপ্রবেশ-করতে-দেব-না-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আর কোনো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আমরা অনুপ্রবেশ করতে দেবো না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, যে পরিমাণ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে রয়েছে, আমরা নিজেরাই এখন তাদের নিয়ে নানান ধরনের জটিলতায় রয়েছি। আমরা আর কোনো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আমাদের ভেতরে ঢুকতে দেবো না।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর হলে আয়োজিত অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের যে বর্ডার লাইন, এটা মূলত বান্দরবান ও টেকনাফের দিক দিয়ে, আমাদের টেকনাফের পরে যে বান্দরবান সীমান্ত এটা খুব দুর্গম এলাকা, সেখানে আমাদের যেসব বিওপি রয়েছে, সেগুলোর একটি থেকে আর একটির দূরত্ব অনেক বেশি।  

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য তারা নানান ধরনের যুদ্ধে জড়িত হয়েছে। এটা তাদের নিজেদের সমস্যার জন্য, আমরা এখনো সঠিকভাবে জানি না তারা কার সঙ্গে গোলাগুলি করছে। কিংবা কাকে তারা প্রতিহত করছে। আমরা যেটুকু শুনেছি, সবখানে আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বিরোধ। সেই বিরোধের জের ধরেই তারা গোলাগুলি করছে। তার মধ্যে দুই একটি আমাদের সীমান্তের ভেতরে অথবা সীমান্তের কাছাকাছি এসে পড়ছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন, কয়েকজন আহত হয়েছেন।  

তিনি বলেন, আমরা এজন্য মিয়ানমারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তার কাছেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এজন্য আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ দেশ, আমরা শান্তি বিঘ্নিত হোক তা চাই না। আমরা সবসময় শান্তিতে থাকতে চাই। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এর আগেও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের তাড়া করেছিল। নাফ নদী যখন রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে তাদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে সারাবিশ্বে মাদার অব হিউমিনিটি বলা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, মিয়ানমারের এ ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ জানাবো, যদি প্রতিবাদেও কাজ না হয়, তাহলে আমাদের জাতিসংঘ রয়েছে, সেখানে আমরা আমাদের অসুবিধার কথা উত্থাপণ করবো। আমরা এই বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা করবো।