লোক দেখানো আন্দোলনের প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
লোক-দেখানো-আন্দোলনের-প্রতিযোগিতা-করছে-বিএনপি-কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) প্রতিদিন উস্কানিমূলক কথাবার্তা, স্লোগান ও কর্মসূচি দিচ্ছে। রাস্তাঘাট অবরোধ-আটকে মানুষের চলাফেরায় ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। তারা অহেতুক পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। প্রতিদিন আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার মতো কোনো কারণ নেই। সরকারের দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সেটিই সরকার করছে।
সোমবার সকালে ময়মনসিংহে টাউন হলে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধানের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি আন্দোলনে কোনোদিন সফল হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি একটানা তিন মাস আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও, গাড়ি ভাংচুর, মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ তাণ্ডব চালিয়েছিল। তখনো তারা সফল হয়নি। খালেদা জিয়া লজ্জাবনত মাথায়, মুখে কালিমা মেখে ঘরে ফিরে গিয়েছিল। তিন মাসেও সফল হয়নি। আর এখন উস্কানিমূলক ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাণ্ডব সৃষ্টি করে সফল হতে পারবে না। তাদেরকে জনগণ প্রতিহত করবে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথের মানুষ, তাদেরকে রাজপথের আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরাও রাজপথের মানুষ। আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাকর্মীই রাজপথে আন্দোলন করেছে, জেল খেটেছে, মামলা-মোকদ্দমা মোকাবিলা করেছে। আগামী দিনেও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।
পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি মনে করি, পণ্যের দাম নির্ধারণ নয়, বরং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত। খোলাবাজার অর্থনীতেতে পণ্যের দাম একদম নির্ধারণ করে দিয়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা একটা ইন্ডিকেটর দিতে পারি যে, দাম এত টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে কঠোরভাবে বাজার মনিটর ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মিলমালিকেরা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে বিরাট মুনাফা করার চেষ্টা করে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে, লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।