বাংলাদেশ না নেপাল, পরিসংখ্যান কি বলে?
প্রকাশিত : ০১:৩০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
বাংলাদেশ-না-নেপাল-পরিসংখ্যান-কি-বলে
সোমবার কাঠমান্ডু দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া পাঁচটায় শুরু হবে।
এর আগে বাংলাদেশ পাঁচটি আসরেই নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে জয়খরার মধ্যে ছিল। দুই দলের বিপক্ষে একটি ম্যাচও জেতেনি তারা।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উন্নতি যে হয়েছে, তারই প্রমাণ মিললো গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, সিরাত জাহান স্বপ্নার জোড়া গোলে ৩-০ তে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হারায় বাংলাদেশ।
এবার ফাইনালে সাবিনারা মুখোমুখি নেপালের । যে দলটির বিপক্ষে তিনবার খেলে প্রত্যেকবার হেরে যায় বাংলাদেশ। ২০১০ সালের সাফে প্রথম দেখা হয়েছিল কক্সবাজারে। সেমিফাইনালে নেপাল ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় স্বাগতিকদের।
চার বছর পর আবারো দুই দল মুখোমুখি হয় সেমিফাইনালে। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে সাজানা রানার একমাত্র পেনাল্টিতে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙে চুরমার, সেবার ১-০ গোলে হারে তারা।
দুইবার সেমিফাইনালে হারা বাংলাদেশ তৃতীয়বার নেপালের মুখোমুখি হয়েছিল গ্রুপপর্বে। ২০১৯ সালে আগের আসরে বিরাটনগরে ওই ম্যাচ ৩-০ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ, ৬ মিনিটে মাসুরা পারভীন আত্মঘাতী গোলে নেপালকে এগিয়ে দেন। তারপর সাবিত্রা ও মানজালি কুমারের গোল।
সবশেষ দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল গত বছর প্রীতি সিরিজে। এক ম্যাচ ড্র হলেও অন্য ম্যাচটি জিতেছিল নেপাল।
পরিসংখ্যানের হিসেবে এগিয়ে আছে নেপাল, তাছাড়া স্বাগতিক বলে আলাদা সুবিধাও রয়েছে তাদের। কিন্তু অতীতের সুখস্মৃতি তাদের শতভাগ স্বস্তি দিতে যথেষ্ট নয়।
নেপালের কোচ কুমার থাপা তার শিষ্যদের সতর্ক করলেন, এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ নয়। সাবিনা খাতুনরা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী মানছেন তিনি, ‘বাংলাদেশের দলটির শক্তি ও স্পিরিট খুব ভালো এবং আমরা তাদের সমীহ করছি। বাংলাদেশ একটি তরুণ দল, আগের চেয়েও শক্তিশালী।’
খেলার আগে সানজিদা আক্তারের এই আবেগঘন স্টেটাসই বলে দেয় আজ তারা কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কতটা আত্বপ্রত্যয়ী জয়ের জন্য।
সাবিনা লিখেন, ‘যারা আমাদের এই স্বপ্নকে আলিঙ্গন করতে উৎসুক হয়ে আছেন, সেই সকল স্বপ্নসারথিদের জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থণের প্রতিদান আমরা দিতে চাই। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনী কে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরো নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।’
সাফের ইতিহাসে বাংলাদেশের সঙ্গে হেড টু হেডে ৩-০ তে এগিয়ে নেপাল। তবে এবারের মাঠের পারফর্মেন্সে বাংলাদেশও কম যায় নি। এবার কি তাহলে সাবিনারা পারবে তাদের এ বৃত্ত ভেঙে বেড়িয়ে আসতে।